শিক্ষায় আরও বেশি বিনিয়োগ দরকার : এন আই খান

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষাখাতে আরও বেশি বিনিয়োগ দরকার। একই সঙ্গে টাকা খরচ করার মতো সক্ষমতাও দরকার। শুধু বিনিয়োগ করলেই চলবে না। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে তৈরি করা বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক শিক্ষাসচিব ও দৈনিক শিক্ষার প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম খান এমন মন্তব্য করেন। বিদেশিদের কাছ  থেকে লোন না নিয়ে নিজেদের টাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পক্ষে মত দেন এন আই খান।

বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ৫ম শ্রেণির ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে নিজ পাঠ্যপুস্তকের অংশ দেয়া হলেও তাদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন অঙ্ক করতে পারে। ফলে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই পাঠ্যবইয়ের অঙ্ক বোঝে না। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যা শেখানো হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয়। ৫ম শ্রেণিতে ১১ বছর পর্যন্ত যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তা মূলত সাড়ে ছয় বছরে পাওয়ার কথা। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় সাড়ে চার বছর পিছিয়ে থাকছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা।

এন আই খান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন,  শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোর অবস্থা খুব ভালো নয়। শিক্ষকদের অনেক কাজ করতে হয়। পড়াশোনার জন্য পাঠ্যবই ছাড়াও অন্যান্য সূত্র থাকা দরকার। যেমন পাড়ায় পাড়ায় গ্রন্থাগার থাকা দরকার। এটা শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়, সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ও এগিয়ে আসতে পারে।

বিশ্বব্যংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে পারে। বাকি ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই বাংলা বই পড়তে পারে না। প্রাথমিক স্তরে ১১ বছর পর্যন্ত যা শেখানো হচ্ছে তা মূলত অন্যান্য দেশের বাচ্চারা সাড়ে ছয় বছরের মধ্যেই শিখছে। ফলে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক স্তর শেষ করলেও তারা সাড়ে চার বছর পিছিয়ে থাকছে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. রবাট জে সাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু ক্লাসে যা শেখানো হচ্ছে তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকছে। মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে সরকারি ব্যয় অনেক কম। এখানে মালয়েশিয়ার চেয়ে অর্ধেক জিডিপির অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে শিক্ষাখাতে। বাংলাদেশের বাজেটে শিক্ষাখাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে তা দিয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024588108062744