বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরল কিন্তু আইনের ওপর ভর করে কেন?

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিনা- এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাস ও মিডিয়া উত্তাল থাকলেও আইনের কাঁধে ভর করে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে কেন আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়? কেন বাংলাদেশে এ ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য সব সময় আদালতের ওপর ভর করতে হয়? 

বুয়েট বাংলাদেশে অত্যন্ত স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বুয়েটের নিজস্ব নানা পর্ষদ রয়েছে, যা বুয়েট সম্পর্কিত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করে। বিশেষ করে সিন্ডিকেট হচ্ছে বুয়েটের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ এবং এ সিন্ডিকেটই একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। তাহলে নতুন করে ছাত্ররাজনীতি চালুর সিদ্ধান্ত এ সিন্ডিকেটের এখতিয়ারভুক্ত হলেও কেন আমরা আইনের দ্বারস্থ হলাম? এতে করে কি সিন্ডিকেটকেই আমরা ছোট করলাম না? আসলে এসব প্রশ্নের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কাঠামো, ক্ষমতা কাঠামো এবং রাজনীতির নানা হিসাব-নিকাশ। শুক্রবার (৫ মার্চ) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন ড. রাহমান নাসির উদ্দিন।

নিবন্ধে আরো জানা যায়, আমরা সবাই জানি এবং মানি, বুয়েট বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার পথিকৃৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার বিকাশ, উন্নয়ন ও বিস্তারে বুয়েটের অবদান অনস্বীকার্য। বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে প্রকৌশল শিক্ষায় ও গবেষণায় দেশের সুনাম উজ্জ্বল করার জন্য বিরল কৃতিত্বের দাবিদার এ বিষয়ে কারো কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। জাতি হিসেবে বুয়েটের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করি। কিন্তু ছাত্ররাজনীতি প্রশ্নে বুয়েটের অবস্থান নিয়ে যেসব আলাপমালা জনপরিসরে এবং মিডিয়ায় জারি আছে, সেটা নিয়ে সবার একমত হওয়ার খুব একটা সুযোগ নেই। কেননা শিক্ষাক্ষেত্রে মৌলিক অবদান এক জিনিস কিন্তু ‘ব্রাহ্মণ্যপনা’ অন্য জিনিস। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ছাত্ররাজনীতি বুয়েটে চালু হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্রাহ্মণ্যপনা’ নষ্ট হবে এবং এ রকম আলোচনাও শুনছি ছাত্ররাজনীতির কারণে ইতোমধ্যে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘নষ্ট’ হয়ে গেছে!

এ যে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু করা নিয়ে একটা ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস’ করার আন্তঃসম্পর্কিত আলাপমালা, এটা আমার কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং ইতিহাসবিমুখ হাইপোথেসিস বলে মনে হয়েছে। এ ধরনের ডিসকোর্সের ভেতর দিয়ে তিনটি বিষয় স্পষ্ট হয়। এক. ছাত্ররাজনীতির যে অতীত ইতিহাস এবং গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এ ধরনের বাহাস সেটাকে খাটো করে। কেননা আমরা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ এর ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ প্রভৃতিতে ছাত্ররাজনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছাত্র নেতাদের যে ভূমিকা, সেটা ঐতিহাসিক এবং গৌরবোজ্জ্বল। ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে একটা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে, এ ধরনের অনুসিদ্ধান্ত ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে খাটো করে। দুই. অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ছাত্ররাজনীতি আছে, সেখানে পড়াশোনা বলে কোনো কিছু নাই, গবেষণা বলে কোনো কিছু নাই, পাঠদান-গবেষণা এসব কোনো কিছুই সেখানে নাই! এ ধরনের সুইপিং সাধারণীকরণও অনাকাক্সিক্ষত। মনে রাখতে হবে, বুয়েটের বাইরেও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে, বিশ্ববিদ্যালয় আছে; সেখানে ছাত্ররাজনীতিও আছে, আবার বিশ্বমানের পঠন-পাঠন ও গবেষণাও হয়। সুতরাং নিজেকে বড় প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যকে ছোট ভাবার কোনো কারণ নাই। তিন. ছাত্ররাজনীতিকে একটি নেতিবাচক তকমা দিয়ে যেভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তাতে করে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে শিক্ষাকে মুখোমুখি দাঁড় করে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে, যেটা একটি সমাজের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

উল্লেখ্য, সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে যেসব শিক্ষার্থী বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চায়, তাদের এই আবেগকে অসম্মান করার কোনো কারণ নাই। কেননা আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পরে বুয়েট ক্যাম্পাসে যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, সেটার কারণে বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে এ ধরনের চিন্তাভাবনা আসা একেবারেই অমূলক নয়। কিন্তু এতদিন পরেও আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২০ জনের ফাঁসির আদেশ হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেন কোনো ধরনের আস্থা এবং নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি হয়নি সেই প্রশ্নের উত্তর জানাটাও জরুরি। নাকি তৃতীয় কোনো শক্তির এটি একটি সুকৌশল ‘নির্মাণ’, সেটাও ভাবনায় রাখা জরুরি! একটি ঘটনার কারণে বা কয়েকটি ঘটনার কারণে বুয়েটে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে এটা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরে যখন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলো আমরা সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে সেটাকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু এটা কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় যে, বুয়েটে আর কোনোদিন ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যারা এই ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদের নিয়ে নানা কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মূলধারা গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। আমি সেই আলোচনা বাদ দিয়েও বলতে চাই, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকাটা সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হলেও চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যারা এটাকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য আন্দোলন করছে তাদের বোঝাতে হবে ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়, বরঞ্চ সহায়ক। এসব সাধারণ শিক্ষার্থীকে বোঝাতে হবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বুয়েটের ছাত্রনেতাদের বীরোচিত ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা। এ দেশের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ও বিস্তারে বুয়েটের ছাত্র-নেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের অতীত ইতিহাস বোঝাতে হবে। আমাদের মনে রাখা জরুরি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই নেতৃত্ব তৈরির অন্যতম ক্ষেত্র, যেখান থেকে আগামীদিনের যোগ্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হবে। যারা দেশের অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতিকে পথ দেখাবে। এদের বোঝাতে হবে, একটা দেশের জন্য যেমন প্রকৌশলী দরকার, তেমনি যোগ্য মেধাবী রাজনীতিবিদও দরকার।

তাই বুয়েটের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধাবী রাজনৈতিক নেতা হওয়ার সম্ভাবনাকে আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি; অন্যদিকে ছাত্ররাজনীতিকে একটি নেতিবাচক তকমায় উপস্থাপনা করার মধ্য দিয়ে সমাজের কাছে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ সম্পর্কিত একটা অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা আমরা নিজেদের অগোচরেই দিয়ে দিচ্ছি; ফলে রাজনীতি একটি নেতিবাচক বিষয় হিসেবে তরুণ প্রজন্মের মনে ও মননে স্থান করে নেবে, যা মেধাবী প্রজন্মকে একদিকে যেমন রাজনীতিবিমুখ করে তুলবে, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ রাজনীতিও মেধাবী মুখ থেকে বঞ্চিত হবে।

আরো একটি বিষয় এখানে মনে রাখা জরুরি, সুস্থ ছাত্ররাজনীতির অভাবে এবং অনুপস্থিতির কারণে ভিন্ন কোনো অপশক্তি, উগ্রপন্থা এবং চরমপন্থার দর্শন ক্যাম্পাসে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে যে কথা বাজারে জারি আছে, সেটা একেবারেই অস্বীকার করা যাবে না। এ কথাও অনস্বীকার্য যে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির কারণে শিক্ষার পরিবেশ মাঝেমধ্যে অস্থির হয়ে উঠে বটে। কিন্তু ‘শেয়াল মুরগি খাবে সে জন্য মুরগি লালন-পালন করব না’ এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। ছাত্ররাজনীতিকে নিষিদ্ধ না করে তাকে উন্মুক্ত করে কীভাবে আরো পরিশীলিত, পরিশুদ্ধ এবং শিক্ষাবান্ধব করা যায়, তার জন্য কাজ করে বুয়েট বরং ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির রূপ, ধরন, কার্যপ্রণালি এবং কার্যক্রম কী রকম হতে পারে, তার একটা মডেল তৈরি করতে পারে। কিন্তু সেটা না করে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত রাখার দর্শন ‘মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা’র সমান। মনে রাখা জরুরি, ‘দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটাকে রুখি, সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি’। সুতরাং ভ্রম রুখতে গিয়ে দ্বার বন্ধ করে রেখে আমরা যেন সত্যের প্রবেশের দরজা বন্ধ করে না দিই। কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে, এই কথাগুলো বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাথায় কাজ করছে না বা বুয়েটের শিক্ষকরা বুঝতে পারছে না এটা মনে করবার কোনো কারণ নাই। তাহলে সিন্ডিকেট কেন এই সিদ্ধান্তটা নিতে পারল না? কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আইনের দ্বারস্থ হতে হলো?

পরিশেষে বলতে চাই, একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে বুয়েট শুধু বুয়েটের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান নয়, বুয়েট এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রতিষ্ঠান। আর দশটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ দেশের জনগণের টাকায় বুয়েটও চলে। সুতরাং বুয়েট সম্পর্কিত যে কোনো সিদ্ধান্তকে নিয়ে এ দেশের জনগণের প্রশ্ন তোলার এবং আলাপ করবার অধিকার আছে।

আমি সব সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির পক্ষে। কেননা আমি মনে করি, আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করার সুতিকাগার হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তবে সেটা হতে হবে শিক্ষাবান্ধব এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতি। এ রকম ছাত্ররাজনীতিকে আমরা কখনোই সমর্থন করি না, যা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। বুয়েট বরং এ রকম একটি ছাত্ররাজনীতির মডেল তৈরি করুক ক্যাম্পাসে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোর জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। সেদিনের প্রতীক্ষায়।

লেখক : ড. রাহমান নাসির উদ্দিন, নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058529376983643