মনপুরার চৌধুরী বাজারের পূর্বপাশে ফকিরদোন এলাকার নতুন বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধটি শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ৪টি স্থানে ভেঙ্গে যায়। স্রোতের কারণে তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন। এদিকে ৫৮ স্কুলের চূড়ান্ত মডেল টেস্ট ও নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
জোয়ারের পানিতে নিখোঁজরা হলেন- ইলিয়াস, রুহুল আমিন ও রাহাত। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ফকিরেরদোন এলাকায়। তাদের খুঁজতে তিনটি ট্রলার মেঘনা নদীতে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, মনপুরা উপকূলে নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনার জোয়ারের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় হাজির হাট ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারের কাছে পূর্বপাশে প্রায় আধা কিলোমিটার নতুন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। বাঁধ ভেঙ্গে পূর্ব সোনারচর গ্রাম, নাইবের হাট, পশ্চিম সোনারচর, চরজ্ঞান ও মনপুরা ইউনিয়নের পূর্বকুলাগাজীর তালুক, কলাতলীচর এবং ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চর নিজাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন এলাকায় ৩জন ভেসে যান।
এখনো কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভারী বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে প্রাথমিক স্তরের ৪২ স্কুলের চূড়ান্ত মডেল টেস্ট পরীক্ষাসহ ১৬ হাইস্কুল-মাদ্রাসার সমাপনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নদীপথে লঞ্চ-সিট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মনপুরা উপকূলবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, নতুন বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমি বিষয়টি ঊদ্ধর্তন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি। দ্রুত তা সংস্কার করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিখোঁজ ৩জনকে উদ্ধারের জন্য ট্রলার পাঠিয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, প্লাবিত এলাকার মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় তার জন্য দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি।