ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত কেবল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশের নবম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯০-৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। ১৯৯১ সালের ৩০ আগস্ট ৮০জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হয়। তখন দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির কলুষতার কারণে চরম অস্থিরতা, ভয়াবহ চিত্র বিরাজ করছিল। সংঘর্ষ, মারামারি, গুলিআতঙ্ক ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। 

এ অবস্থায় যখন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়, ঠিক সেদিনই ওরিয়েন্টেশনের আগেই খুবির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্থির করেন, তারা এ বিশ্ববিদালয়কে কলুষিত ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখবেন। 

সেই মতো ওরিয়েন্টেশনে প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রহমান তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। সেখান থেকেই শুরু, আজও সেই শপথ ভাঙেননি খুবি শিক্ষার্থীরা! জানা গেছে, খুবিতে ছাত্রদের জন্যে কোনো নিজস্ব ফোরাম নেই, নেই কোনো কোন দলীয় নেতা, কোনো দলের স্বার্থনেষী কার্যক্রম নেই। উপস্থিতি নেই টেন্ডারবাজিরও। অস্ত্রের ঝংকার তো দূরে থাক রক্তের বিভীষিকাও নেই! তবুও এখানে টিকে আছে নেতৃত্ব, বেঁচে আছে সংগ্রাম ও প্রতিবাদ। এখানকার ছাত্ররা স্বপ্ন দেখে সুন্দর আগামীর, স্বপ্ন দেখায় সুন্দর আগামীর। 

ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস:

দেশে অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলমান রয়েছে। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষ, হানাহানি, মারামারির বহু সংখ্যক ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের রক্তে সবুজ ক্যাম্পাস রঞ্জিত হয়েছে। দিনের পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় টানা তিন দশক ধরেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাত্ররাজনীতি মুক্ত। এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে শোনা যাবে না কোনো স্লোগান, শোনা যাবে না উচ্চস্বরে শব্দ। একাডেমিক ভবনসহ কোনো ভবনের গায়ে, দেয়ালের গায়ে লেখা নেই, চিকা মারা নেই, নেই কোনো শ্লোগান লেখা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন, ছবি: বাংলানিউজ১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি সিন্ডিকেটের ৭৬তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ সংক্রান্ত শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৯(ক) ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তা একই অধ্যাদেশের ১৭(ক) ধারায় সন্নিবেশিত হয়। যেখানে বলা আছে কোনো শিক্ষার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না।

বছরের প্রথম দিনেই ক্লাস শুরু:

জানুয়ারির ১ তারিখেই প্রতি বছর ক্লাস শুরু হচ্ছে, আর বছরে দুই টার্ম শেষ করে ফলাফল ঘোষিত হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই। সব পরীক্ষা, ক্লাস সবকিছুই একীভূত একাডেমিক পঞ্জিকা অনুসরণ করেই পরিচালিত হচ্ছে।

শিক্ষার এমন অনুকূল পরিবেশ দেশের অন্যকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই এমন দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এ প্রসঙ্গে খুবির অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তৈয়েবুর রহমান বলেন, একমাত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতি, হানাহানি না করার শপথ ভাঙেননি। ছাত্রছাত্রীদের রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণার বিকাশে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ক্যাম্পাসে রয়েছে।

২৫টির বেশি ছাত্র সংগঠন:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানকার ক্যাম্পাস দীর্ঘ এ সময় ধরে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখার সেই কঠিন চ্যালেঞ্জকে সামাল দিতে  সক্ষম হয়েছে। দাবি করে অনেকে বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নেই তাই বলে এখানে নেতৃত্ব সংকট, দাবি আদায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন, জাতীয় দিবস ও সরকারি কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদা ও বিপুল  উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গেই প্রতিপালিত হয়ে আসছে।

তাতে কখনই কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫টির বেশি ছাত্র সংগঠন রয়েছে যারা নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বির্তক প্রতিযোগিতা, রক্তদান, নাটক, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত-নৃত্য চর্চার মতো আবহমান বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করে এমন সবকিছুই হয়ে থাকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ:

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই কিন্তু বিগত দিনে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, বুয়েটের আরবার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডসহ এমন অনেক ঘটনায় খুলনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল দিয়েছে। কিন্ত সেখানে কোনো ছাত্ররাজনীতির ব্যানারে নয় বরং সব শিক্ষার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ডিসিপ্লিনের সংখ্যা ২৯ টি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার, শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৫০০, কর্মকর্তা সংখ্যা প্রায় ৩০০ এবং কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। আবাসিক হলের সংখ্যা ৫টি (ছাত্রদের ৩টি ও মেয়েদের ২টি)।

ছাত্রদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ যেভাবে:

এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হচ্ছে এখানে প্রতিটি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) প্রতিটি শিক্ষা শ্রেণি প্রতিনিধি (সিআর) পদ্ধতি রয়েছে। একাডেমিক সংক্রান্ত সুবিধা-অসুবিধার বিষয় তাদের মাধ্যমে শিক্ষকরা অবহিত হন এবং সেখান থেকে ডিসিপ্লিন প্রধান, ডিন হয়ে তা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিরসন হয়ে থাকে। দ্বিতীয়ত- বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর আছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত তৃতীয় একাডেমিক ভবন, ছবি: বাংলানিউজসেখানেও শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে তা যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও আবাসিক হলের জন্য রয়েছে প্রভোস্ট কমিটি। সেখান থেকেও এবং স্ব স্ব হলের প্রশাসনের মাধ্যমেও অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে।

প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থী উদ্বুদ্ধকরণ:

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তির পরপরই কেন্দ্রীয়ভাবে ওরিয়েন্টেশন হয়ে থাকে প্রতিবছর। সেখানে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গুণীজনেরা অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা শোনেন। 

এছাড়া ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর মাধ্যমে ২৯টি ডিসিপ্লিনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে মোটিভেশনাল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানো হয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ অনেকেই নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য উদ্দেশ্য, জীবনের চাওয়া-পাওয়া, সমাজ-সংস্কৃতি, উচ্চশিক্ষার অভীষ্ট লক্ষ্য, গুণগতমাণ, বিশ্বপরিস্থিতি ও দক্ষজনবল তৈরি, খুলনা বিশ্ববিদ্যারয়ের বৈশিষ্ট্যবলী নিয়ে দিনভর শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

হলগুলো যেভাবে পরিচালিত হয়:

এ বিষয়ে খুবির খান বাহাদুর আহসানউল্লা হলের সহকারী প্রভোস্ট সিএসই ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, খুবির হলগুলোর কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য হল প্রশাসনের একটি কমিটি রয়েছে। ৬ মাস পরপর এক একটি হল এই কমিটির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব নেয়। হল প্রশাসনের সমন্বয় এবং সার্বিক শৃঙ্খলা বিধান করার বিষয়ে এই কমিটিতে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়। 

‘এর মাধ্যমে বাৎসরিক হলে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের মেন্যু ঠিক করা হয় বা আন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা হয়। এছাড়া  ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে মাদক নির্মূল এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় করণীয় এই কমিটির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। নিয়মিত এই কমিটির মিটিং আয়োজন করা হয় এবং সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করা হয়।’

তিনি বলেন, হলগুলোতে প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্টরা নিয়মিত দিনে ও রাতে পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগ খাতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের অভাব অভিযোগ সংগ্রহ করে সাধ্যমত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিবছর একবার ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রভোস্ট কমিটি আলোচনায় বসে তাদের বড় সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এধরনের আলোচনা থেকেই হলে সুপেয় পানির গভীর নলকূপ বসানোর ছাত্রদের দাবি ইতিপূর্বে পূরণ করা হয়েছে।  হলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠতা, মেধা এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সুচারুভাবে সিট বরাদ্দ করা হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় নবনির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ছবি: বাংলানিউজ
হলের প্রভোস্ট জানান, ছাত্র হলগুলোতে ছাত্রদের দ্বারা পরিচালিত ডাইনিং এবং আলাদাভাবে ক্যান্টিনেরও ব্যবস্থা আছে। এই খাবারের মান নিশ্চিত করার জন্য আলাদাভাবে হলে সহকারী প্রভোস্টদের দায়িত্ব বণ্টন করা আছে। এছাড়া হলগুলোতে রিডিং রুম, টিভি রুম, সংবাদপত্র পড়া এবং নামাজের জন্য পৃথক মসজিদের ব্যবস্থা রয়েছে।

খুবির অর্জনের পেছনে যাদের অবদান:

খুবির ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকুজ্জামান বলেন, ছাত্ররাজনীতি না থাকার পরও খুবি স্ব-গৌরবে নিজেদের প্রকাশ করে চলছে বছরের পর বছর। সবচেয়ে ভালো শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তির সুযোগ পায়। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও অধিক যোগ্য ব্যক্তিদের নেওয়া হয়। এখানে লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি নেই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩০ বছরে হানাহানিতে কোনো মায়ের কোল খালি হয়নি। 

‘এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যেমন অবদান রয়েছে তেমনি খুলনার রাজনীতিবিদদেরও অবদান রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে সৌহর্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোটার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি জালিয়াতি নেই।’

তিনি বলেন, গত ৭ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই টার্মে প্রতিবছর পরীক্ষা হয়ে থাকে। একটি ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। আরেকটি ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৯টি ডিসিপ্লিনের এক দিনে ক্লাস শুরু আবার একই দিনে পরীক্ষা শুরু হয়। এটি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে কোনো সেশনজট নেই। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। উদাহরণ হিসেবে উপাচার্য ড. ফায়েকুজ্জামান বলেন, ৩৬তম বিসিএসে খুবির ৪৮ শিক্ষার্থী ক্যাডার হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

এছাড়া দেশের সব বিশ্ববিদ্যলয়কে পেছনে ফেলে খুবি উদ্ভাবনী ক্যাটাগরিতেও শীর্ষে উঠে এসেছে বলে জানান তিনি। 

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়ে স্পেনের সিমাগো ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস পরিচালিত জরিপে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে খুবি। বিশ্ববিদ্যলয়টির এ অনন্য অর্জনে পেছনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার অবদান রয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004065990447998