মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষককে গণধোলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ই নভেম্বর) সকালে ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে বিক্ষুব্ধরা গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা ।

কাঞ্চনের কলাতলী এবতেদায়ী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়া প্রায় এক ডজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। গত এক যুগে তার নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থী রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটি শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়েছে।

বুধবার রাতে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়। তবে মাদ্রাসা কমিটির তদবিরে লম্পট শিক্ষক এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। তার অপসারণের দাবিতে স্থানীয়রা ক্রমেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে।

জানা গেছে, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার গ্রামের মাওলানা হাফেজ মোঃ ইকবাল হোসেন গত এক যুগ আগে কাঞ্চনের কলাতলী এবতেদায়ী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের কয়েক মাস পর থেকেই লম্পট এ শিক্ষক প্রায় রাতে ছাত্রদের তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যেত। পরে অভিনব কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্যাতন করত। তার নির্যাতনের শিকার হয়ে গত এক যুগে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছে। গত কয়েক মাসে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ আবু হানিফা, হাফেজ মামুন মিয়া, রাকিব হোসেন, হাফেজ তারিকুল ইসলাম, হাফেজ রবিউল ইসলাম, আশ্রাব আলীসহ এক ডজন শিক্ষার্থীকে লম্পট শিক্ষক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অবশেষে বুধবার রাতে কলাতলী এলাকার হারুন মোল্লার ছেলে হিমেল মোল্লাকে ওই শিক্ষক নির্যাতন করেছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হিমেলকে উদ্ধার করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে লম্পট শিক্ষককে গণপিটুনি দেয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050158500671387