পটুয়াখালী মীর্জাগঞ্জ উপজেলায় ২০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৩টি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ফলে এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কার্যক্রম চলছে। যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই তাদের এই সরঞ্জাম কোনো কাজে আসছে না।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মীর্জাগঞ্জে ২০৩টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা রয়েছে। তন্মধ্যে পূর্ব মীর্জাগঞ্জ এস.এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুবিদখালী খাতুনে জান্নাত বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, হাওলাদার ফাউন্ডেশন ওমেন্স কলেজ, আন্দুয়া আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর চৈতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই।
বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম জানান, বিদ্যালয়ের পাশেই মাত্র ১শ ফুট দূরে বিদ্যুতের লাইন আছে। শুধু একটি খুঁটি হলেই আমরা এ বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারি। বিদ্যুৎহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ ব্যাহত হচ্ছে। অপরদিকে প্রচণ্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মীর্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ঐ সকল বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যুৎবিহীন বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কার্যক্রম চলছে।