যশোর বোর্ডের নির্দেশনা মানছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ

যশোর প্রতিনিধি |

অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী এস.টি. স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইংরেজী বিষয়ের প্রভাষক মাসুদ আলমের চূড়ান্ত বরখাস্তকে ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ উল্লেখ করে তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল যশোর শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষা বোর্ডের আপীল এ্যান্ড আর্বিট্রেশন কমিটির ৬৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৬ আগস্ট তাকে পুনর্বহালের জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয় যশোর শিক্ষা বোর্ড। কিন্তু বোর্ডের সে সিদ্ধান্ত মানেনি ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সুন্দলী এস.টি. স্কুল এ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বোর্ডের দেয়া ওই নির্দেশনা অমান্য করে মাসুদ আলমকে স্বপদে পুনর্বহাল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অসুস্থতার কারণে মাসুদ আলম চিকিৎসা ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ‘অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত’ থাকার কারণে ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এরপর নওয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসানকে আহ্বায়ক এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও সংস্কৃত বিষয়ের প্রভাষক চিন্ময় কুমার বিশ্বাসকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি মাসুদ আলমকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়নি। এরপর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ‘পেশাগত অসদাচরণের’ দায়ে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরের ১৬ অক্টোবর চিঠি দিয়ে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়টি অবহিত করা হয়। এ ঘটনায় মাসুদ আলম গত ১ ডিসেম্বর যশোরের সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাসুদ আলমের চূড়ান্ত বরখাস্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে কলেজ পরিচালনা পর্ষদকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন। এরপর মাসুদ আলমের চূড়ান্ত বরখাস্ত অনুমোদনের জন্য অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ গত ১৯ জানুয়ারি যশোর শিক্ষা বোর্ডে কাগজপত্র প্রেরণ করেন। গত ১৯ জুলাই শিক্ষা বোর্ডের আপীল এ্যান্ড আর্বিট্রেশন কমিটির ৬৪তম সভায় মাসুদ আলমকে স্বপদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর গত ১৬ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাস সুন্দলী এস.টি. স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক মাসুদ আলমকে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে চূড়ান্ত বরখাস্ত করে বিধি লঙ্ঘন করেছেন।

বোর্ডের দেয়া ওই চিঠির পর মাসুদ আলমকে পুনর্বহালের জন্য উদ্যোগী হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বোর্ডের চিঠি অমান্য করে তাকে স্বপদে পুনর্বহাল না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জানতে চাইলে এস.টি. স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কয়েক দিন আগে একটি মিটিং করে। সেখানে পরিচালনা পর্ষদের অধিকাংশ সদস্য বলেন, যেহেতু মাসুদ আলম কলেজের নামে মামলা করেছে। তাই তাকে আপাতত কলেজে যোগদান করতে দেব না। ফলে আমার করার কিছু নেই।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0061841011047363