দৈনিকশিক্ষাডটকম, জয়পুরহাট : ভোট কেন্দ্রে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকারি কলেজের এক শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করেছে ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কলেজের অন্য এক শিক্ষক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জনসহ থানার সামনের সড়কে মানববন্ধন করে দোষীদের বিচারের দাবি জানান। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদি আশিক রাজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক জুল আরস শুভসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
জুল আরস শুভ বলেন, ভোটের সময় ক্ষেতলালের একটি ভোট কেন্দ্রে ওই শিক্ষক ভোটারদের আসতে দেননি। এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনায় কোনো উত্তর না দিয়ে তিনিই আমাদের ধাক্কা মেরে উদ্ধত আচরণ করেন। এ কারণে ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে কিছুটা শাসন করেছে। মারপিট করা হয়নি।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদাউস রনি টিফিনের সময়ে কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে ক্ষেতলাল থানা বাজারের ইসলামী ব্যাংকের সামনে পৌঁছলে তাকে ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদি আশিক রাজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক জুল আরস শুভ ডেকে নেন। এ সময় ভোট কেন্দ্রে বাধা দেয়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা ও দলবদ্ধ নেতা-কর্মীরা তাকে চড়থাপ্পড়সহ কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নাসির উদ্দিন ওই পথে যাওয়ার সময় এ ঘটনা দেখে তাকে উদ্ধার করেন।
মারধরের শিকার প্রভাষক জান্নাতুল ফেরদাউস রনি বলেন, প্রভাষক নাসির ভাই না থাকলে হয়তো ওরা আমাকে মেরেই ফেলত। কলেজের অধ্যক্ষ জিনাত রেহেনা বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।