শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর প্রতিনিধি |

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই আমরা এগিয়ে যাবো। সামনে যেতে হলে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যেতে হবে। আর প্রযুক্তি অন্য লোকে খালি বানাবে আর আমি ওইটা কিন্না কিন্না শিখবো তা তো হয় না। আমরাও প্রযুক্তি বানাবো। এখনই শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি বানাচ্ছে। আমার শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা উদ্ভাবনে যোগ্য হয়। সেটা করতে হলে তাকে যোগাযোগে দক্ষ, সমস্যা নিরূপনের দক্ষ এবং অনেককে নিয়ে কাজ করার যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। 

বুধবার চাঁদপুর গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল হাই স্কুলে নতুন কারিকুলামের ওপর প্রধান শিক্ষকদের ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন এসে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 

ডা.দীপু মনি আরো বলেন, নতুন শিক্ষক্রম নিয়ে নানান সমালোচনা কেউ কেউ করছেন। করতেই পারেন। যেকোনো জিনিষের পক্ষ প্রতিপক্ষ থাকে। কেউ কেউ আছেন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তারা মনে করতে পারেন এটাকে একটা ইস্যু বানাই। যারা কোচিং সেন্টার চালায় বা যারা নোট গাইডের ব্যবসা করেন, তারা মনে করেন ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তাদেরও আপত্তি আছেন। 

প্রধান শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা শিক্ষকতা করতে করতে এতোদিনে প্রতিষ্ঠান প্রধান হয়েছেন। আপনারা তো বুঝতে পারেন। আমাদের শিক্ষর্থীদের আগামী দিনে সফল হওয়ার জন্য এটা কত জরুরি। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের ছোটবেলায় কিছুই বদলাইতো না। এখন একটা মোবাইল ফোন কত বদলাইসে। এখন দিনটা কতো বদলাইসে। পৃথিবী এতো দ্রুত আগে কখনো বদলায়নি। আগে আমরা মুখস্ত করে পরীক্ষা দিসি। যা কিছু মনে আছে সেটির সব করে করে শেখা। যেগুলো মুখস্ত করছিলেন সেইটা না। এখন এ প্রযুক্তির যুগে বাচ্চারা মুখস্ত করে এগিয়ে যেতে পারবে? পারবে না। তারা পিছিয়ে যাবে।

দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম অবশ্যই প্রয়োজন ছিলো। এ শিক্ষাক্রম আগামী দিনে যোগ্য দক্ষ মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করবে। এতে ধর্মের প্রতি কোনো বিদ্বেষ এর মধ্যে কোথাও নেই। থাকতে পারেও না। ইসলাম ধর্ম মিথ্যাচার মানা করছে, গিবত করা মানা করেছে, অপপ্রচার মানা করেছে। কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে। নতুন শিক্ষাক্রমের বই দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ। তাদের কদর্য ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজনতো বইলো দিলো আমি দীপু মনি নাস্তিক। আমি ধর্ম পালন করি কি না করি সেটা আপনারা না জানতে পারেন। কিন্তু আমারা বাবা মা মুসলমান এটুকু আপনারা জানেন। এই যে একজন মুসলমানের সন্তানকে নাস্তিক বললেন সে অধিকার কি তাদের আছে। 

প্রধান শিক্ষকদের তিনি আরো বলেন, আপনারা চেষ্টা করবেন নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের। সপ্তাহের শুরুর দিনে শিক্ষকদের নিয়ে বসবেন। কোনো সমস্য আছে কি না। জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ শেখে। শেখায় কোনো লজ্জা নেই। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আপনি পরিবর্তন দেখবেন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।শিক্ষার সব


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর - dainik shiksha শিক্ষক লাঞ্ছিত ও পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিটিএর মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি - dainik shiksha মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী - dainik shiksha আন্দোলনে অসুস্থ ১১ নার্সিং শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে - dainik shiksha জলবায়ু পরিবর্তন মারাত্মক প্রভাব ফেলছে শিক্ষা খাতে বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ - dainik shiksha বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য - dainik shiksha এমপিওভুক্তি: দীপু মনির ভাই টিপুচক্রের শতকোটি টাকার বাণিজ্য অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - dainik shiksha অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর - dainik shiksha ভুয়া নিয়োগে এমপিও: এক মাদরাসার ১৫ শিক্ষকের সনদ যাচাই করবে অধিদপ্তর বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন - dainik shiksha বার্ষিক পরীক্ষার উদ্দীপকসহ ও উদ্দীপক ছাড়া প্রশ্ন একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী - dainik shiksha একসঙ্গে তিন প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তুলতেন মাদরাসা কর্মচারী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026309490203857