চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সচিবালয়ে ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারী ৩৫০ আনসার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় জড়িত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রোববার রাত পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ আনসার সদস্যকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর পর তোপের মুখে সচিবালয় ছেড়ে পালিয়ে যান অধিকাংশ আনসার সদস্য। তবে ৩৫০ সাধারণ আনসার সদস্য রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টা পর্যন্ত সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন সাধারণ আনসার সদস্যরা। পরে সমন্বয়কারীদের আহ্বানে সচিবালয়ে তাদের উদ্ধারে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের দুই ও তিন নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার সদস্যরা হামলা করেন।
পরে সচিবালয় এলাকার চারদিক থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ঘিরে ফেলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ সময় অধিকাংশ আনসার সদস্যকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। তবে পালানোর সময় বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও মারধরের শিকার হন আনসার সদস্যরা।
পরে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় তিন শতাধিক আনসার সদস্যকে। তাদের শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও মতিঝিলসহ আশপাশের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত আড়াইটা পর্যন্ত সচিবালয় গেট থেকে আটক আনসার সদস্যদের পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে বিভিন্ন থানায় নেওয়া হয়।
এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বিক্ষুব্ধ আনসার সদস্যরা। এ সময় ছয় সেনাসদস্য আহত হন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।