শিক্ষা খাতে ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছে ৪০ শতাংশ পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক |

করোনার প্রভাবে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অন্তত ৪০ শতাংশ পরিবার তাদের শিক্ষা বাজেট কমাতে বাধ্য হয়েছে। উন্নত দেশগুলো এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারলেও নিম্ন আয়ের দেশের এই পরিবারগুলো আগামী বছরও তাদের শিক্ষা বাজেট কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এক-চতুর্থাংশ এখনো চালু হয়নি। এই স্কুলগুলোর বেশির ভাগ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে অবস্থিত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমে কোভিড-১৯-এর প্রভাব নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। ইউনেস্কো এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কোভিডের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হওয়া, শিক্ষার্থী, বাবা-মা ও শিক্ষকদের জন্য দূরবর্তী শিক্ষাসহায়তা, স্কুল পুনরায় খোলার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ এবং অর্থায়নসহ জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার ওপর কোভিডের প্রভাবের বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যবর্তী সময়ে প্রায় ১৫০টি দেশে জরিপ পরিচালনা করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রতিবেদন বিষয়ে ইউনিসেফের শিক্ষা কার্যক্রমের প্রধান রবার্ট জেন কিন্স এক প্রেস বার্তায় উল্লেখ করেন, বিশ্ব জুড়ে শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে মহামারি যে বিপর্যয় ঘটিয়েছে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে তার ব্যাপকতা অনেক বেশি। এসব দেশে দূরশিক্ষণের সীমিত সুযোগ, অর্থায়ন কমে যাওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি এবং পুনরায় স্কুল খোলার ব্যাপারে বিলম্বিত পরিকল্পনা স্কুলগামী শিশুদের জন্য স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগকে ব্যাহত করেছে। এ অবস্থায় স্কুলগুলো পুনরায় চালু করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিশুদের পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাড়তি ক্লাস নেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির প্রকোপ শুরুর পর এ পর্যন্ত দরিদ্রতম দেশের শিশুরা গড়ে তাদের শিক্ষাজীবনের প্রায় চার মাস হারিয়েছে। যেখানে উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর শিশুরা হারিয়েছে ছয় সপ্তাহ। ৭৯টি দেশের মধ্যে নিম্ন এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর প্রায় ৪০ শতাংশ ইতিমধ্যে তাদের শিক্ষা বাজেট কমিয়েছে। চলতি বা আগামী অর্থবছরে তাদের দেশের শিক্ষা বাজেট কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর প্রায় অর্ধেক হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পদক্ষেপ, পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী না থাকার কথা জানিয়েছে। উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর ৫ শতাংশ এগুলো না থাকার কথা জানিয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছে, উচ্চ এবং উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশগুলোর ৯০ শতাংশের বেশি দেশে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে শিক্ষকদের দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিল, যেখানে নিম্ন-আয়ের ৪০ শতাংশেরও কম দেশ এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। প্রতি ১০টি দেশের মধ্যে ৯টি দেশই অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরিতে সহায়তা দিয়েছিল। তবে এই সুবিধার আওতা ছিল খুবই কম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004749059677124