শিক্ষা সচিবের কাছে তিন প্রস্তাব অনশনরত শিক্ষকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে তিনটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছেন অনশনরত ননএমপিও শিক্ষকরা। আংশিক বেতন হলেও এই অর্থবছরেই এমপিওভুক্তির আওতায় বেতন-ভাতার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের।

 রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত দিকের ফুটপাতে ১৪ দিন যাবত অনশণরত শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল রোববার (৮ জুলাই) শিক্ষাসচিব মো:  সোহরাব হোসাইনের সঙ্গে দেখা করে তিন প্রস্তাব পেশ করেন।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার শাহ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনের ২৯তম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। আমরণ অনশনের ১৪তম দিন চলছে। অথচ এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই।  শিক্ষক নেতাদের কেউ কেউ সরকারের উচ্চমহলকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা পেটের দায়ে রাস্তার ধারে শুয়ে আছি। অন্যকোনও উদ্দেশ্যে নেই। একটাই দাবি এমপিওভুক্তি।  

তিনি আরও বলেন, গত ৫ জুলাই বিকেলে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনের আমন্ত্রণে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সচিব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বান জানালে প্রতিনিধি দল পূর্ববর্তী ২৭ বার আন্দোলনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, এর আগেও আমরা অনেকবার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি কিন্তু সেই আশ্বাসের কোনো বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। তাই এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার পাশাপাশি আন্দোলনও চলবে।

মোকারম হোসেন বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এমপিও নীতিমালায় আপত্তির প্রেক্ষিতে বিকল্প প্রস্তাব আহ্বান করায় সংগঠনের দুইজন প্রতিনিধি প্রস্তাবনা প্রেরণ করতে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে যান। তারা হলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তারা তিনটি প্রস্তাবনা পেশ করেছেন।

প্রস্তাবনা তিনটি হচ্ছে-

১. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য একমাত্র নীতি হবে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি। যার মাধ্যমে অতীতে সারা দেশের ২৮ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও পূর্বের এমপিওভুক্তির নীতিতে এমপিওভুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী তার একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে পাঠিয়ে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আমাদের এমপিওভুক্তির দাবি মেনে নিয়েছেন।

২. বরাদ্দকৃত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে বর্তমান অর্থবছরেই (২০১৮-২০১৯) সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করা যেতে পারে। পরবর্তী অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) আংশিক বেতনের সমন্বয় সাধন করা।

৩. দীর্ঘ ১৫-২০ বছর এমপিওভুক্ত না হওয়ায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর সময় প্রদান। এ সময়কালে সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ।

উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১০ জুন থেকে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025110244750977