দেশের তরুণদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বিল-২০১৮’ সংসদে পাস হয়েছে।
রোববার বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। পরে তা তণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি হয়।
গত ২২ জানুয়ারি বিলটি সংসদে তোলার পর পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে ১৯৯৮ সাল থেকে। প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের মাধ্যমে এ কেন্দ্রকে আইনের আওতায় আনতে বিলটি তোলা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, এই ইনস্টিটিউটের একটি নির্বাহী কাউন্সিল থাকবে, যার প্রধান হবেন যুব ও ক্রীড়া সচিব। ১৮ ক্যাটাগরির সদস্য এই নির্বাহী কাউন্সিলে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
নির্বাহী কাউন্সিলে মনোনীত সদস্যদের তিন বছরের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। নির্বাহী কাউন্সিলকে বছরের কমপক্ষে দুইবার সভা করতে হবে।
যুবদের মানব সম্পদে রূপান্তরে প্রশিক্ষণ ও কারিকুলাম প্রণয়ন করা, যুবকর্মের উপর উচ্চতর গবেষণা ও মূল্যায়ন, ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি দেওয়া, যুবকদের বিষয় নিয়ে একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা, প্রশক্ষণ ও যুব বিষয়ক নীতি প্রণয়ণ করবে এই ইনস্টিটিউট।
ইনস্টিটিউট একাডেমিক ডিগ্রি, ডিপ্লোমা, সনদ বা উপাধি দিতে পারবে। সরকারের অনুমোদন নিয়ে ইউজিসির সুপারিশ, পরামর্শ ও নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী এসব ডিগ্রি দিতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের কোর্স পরিচালনার জন্য এ প্রতিষ্ঠানে একটি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থাকবে, যার প্রধান হবেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বীরেন বলেন, “‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র’কে ‘শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’এ রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং যেহেতু দেশের যুবসমাজের জন্য একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন গবেষণা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”