সামছুল হক কলেজের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ছাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

রাজধানীর ডেমরায় সামছুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রায় দেড়শ ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ের এসব ছাত্রী চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় প্রতিদিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছে না। ফলে তারা এবং তাদের অভিভাবকরা কলেজটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, সরকারি আদেশে বাতিল হওয়া সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ে প্রায় দেড়শ’ ছাত্রীকে ভর্তি করিয়েছে সামছুল হক খান কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে কলেজের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করে শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলেছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি বাণিজ্যিক বিভাগে থেকে সাচিবিক বিদ্যা বিষয়টি বাতিল করে ফিন্যান্স, ব্যাকিং ও বীমা বিষয় চালু করা হয়। তখন বলা হয়, যেসব শিক্ষার্থীর সাচিবিক বিদ্যা রয়েছে তাদের জন্য ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এ বিষয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এরপর নতুন করে আর এ বিষয়ে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না।

জানা গেছে, বাতিল হওয়ার পরও চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজধানীর ডেমরায় সামছুল হক খান কলেজে ছাত্রীদের সাচিবিক বিদ্যা বিষয়ে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় প্রতিদিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষও বাতিল হওয়া বিষয়ে পরীক্ষা আয়োজনে ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। অথচ এ বিষয়টি আছে প্রচার করেই শিক্ষার্থীদের এতদিন ধরে বলে এসেছে কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, বাণিজ্যিক বিষয়ে সাচিবিক বিদ্যা বাতিল করে নতুন যেসব বিষয় চালু করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে অনুমোদন পেতে আমরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেছি। কিন্তু বোর্ড আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালিতে আমরা এখনও নতুন বিষয়ের অনুমোদন পাইনি। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিষয় অনুমোদন স্থাগিত রাখা হয়েছে। এসব কারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষা বোর্ডর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শিক্ষা বোর্ডে নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করলে আমাদের এ বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, বাণিজ্য বিভাগে সাচিবিক বিদ্যা বাতিল নতুন বিষয় চালু করা হলেও তাদের সে বিষয়গুলোর অনুমোদন নেই। ফলে বাতিল হওয়া বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে। এ কারণে সামছুল হক কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাতিল হওয়া বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা এখনও কোন সমাধান দিতে পারি নাই। শিক্ষার্থীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় অন্তত সেই বিষয়টি দেখার জন্য নতুন চেয়ারম্যান যোগদান হলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022139549255371