প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবেন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর এ ভারত সফর। এর আগে জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কনফারেন্স হলে ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বের ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলোচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাইয়ে যাব।’
ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন বিআরটিসি বাস আসছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য সুখবর যে এ বছর নভেম্বরের মধ্যে নতুন করে ১০০ ইলেকট্রিক ডাবল ডেকার এসি বাস আনার কথাবার্তা হচ্ছে এলওসির আওতায়। আমরা আশা করছি, আমাদের বিআরটিসি বহর আরো সমৃদ্ধ হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদিও রাজনৈতিক আন্দোলন বিআরটিসি বাসের জন্য সমস্যা। মঙ্গলবার কী সুন্দর দুটো বিআরটিসি গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। একটাতে ভাংচুর করা হয়েছে, অন্যটাতে আগুন দেয়া হয়েছে। ভারত যে বিআরটিসির সুন্দর গাড়িগুলো পাঠিয়েছে, মাঝেমধ্যে সেগুলো হামলার শিকার হয়।’
ভারত যদি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করে তাহলে বিনিয়োগের জন্য আমাদের অন্য কারো কাছে যেতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রোড কানেক্টিভিটি এবং রেল সেক্টরে দুই দিক থেকেই কানেক্টিভিটি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি আরো নতুন নতুন দুয়ার উন্মোচিত হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে ও লেনদেন বেড়েছে। এর ফলে উভয় দেশই লাভবান হয়েছে। এ কথাগুলো আমাদের স্বীকার করতে হবে। আমি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই আমাদের নিজের স্বার্থে, আমাদের জাতীয় স্বার্থে ও আমাদের উন্নয়নের স্বার্থে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক, ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।