বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে তারা।
জানা যায়, কলেজে শিক্ষক মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে শিক্ষার্থীরা ছাড়া শুধুমাত্র শিক্ষক ও কর্মচারীরার উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে অধ্যক্ষর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তারা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলেজের কলা ভবন ও ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘরোয়াভাবে একটি কক্ষে আয়োজন করে। সেই আয়োজনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ছাত্রলীগ নেতারা আরও অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য সব জাতীয় দিবসের আয়োজন কলেজ কর্তৃপক্ষ মুক্তমঞ্চে বড় আয়োজনের মাধ্যমে করে থাকেন। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ঘরোয়া ভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের মধ্য দিয়ে করা হয়েছে। যা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী মেনে নিতে পারেনা।
আলোচনা সভা শেষে অধ্যক্ষ নিজ কার্যালয়ে আসার পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষর সাথে সাক্ষাৎ করেন। অধ্যক্ষর সাথে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আল ইমরান জানান, উত্তরবঙ্গে ছাত্র রাজনীতির শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সরকারি আজিজুল হক কলেজ। সেখান বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেউ দাওয়াত না পাওয়াটা তামাশা ছাড়া কিছুই নয় । কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করে জামাত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা না করে ঘরোয়াভাবে একটি কক্ষে আলোচনা সভা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস ও আজকের দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে শিক্ষার্থীদের দাওয়াত না দেওয়া নেক্কারজনক।
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা করা হয়েছে। এই সভা করা হয়েছে শিক্ষকদের নিয়ে। মিলনায়তন কোন ঘরোয়া কক্ষে নয়। আমন্ত্রণ দেয়া না দেয়ার কোন বিষয় এটি নয়।