মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্টার করুন

বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার, এতে কোন সন্দেহ নাই। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ টিকে সাধুবাদ জানায়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রা যেমন শিশুদের শিক্ষার হাতেখড়ি দিচ্ছে তেমনি ভাবে এবতেদায়ী শিক্ষকরা হাতেখড়ি দিচ্ছে। এমনকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি বিষয় অধ্যয়ন করিয়ে থাকে। তথাপি সুযোগ সুবিধার দিক থেকে এবতেদায়ী শিক্ষকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক দের চেয়ে অনেকাংশে পিছিয়ে। আমি একজন এবতেদায়ী শিক্ষক এর সন্তান হিসেবে, সরকারের কতৃপক্ষ কে বিষয় টি অতীব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি।

বর্তমান সরকার কি সরকারের পোষ্য সন্তানের মত তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ও বেতন বাড়িয়ে দিয়ে কি অপরাধ করেছে? এসব সুবিধাদির তুলনায় প্রাইমারির শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে কি পরিমাণ শিক্ষাদান করে আর তাদের শিক্ষাও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এসব শিক্ষকদের আন্দোলনের বিপরীতে তাদের সুযোগ-সুবিধা উল্টো কমিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে আমেরিকার মতো তাদেরকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন তারা এ ধরনের অনৈতিক ও অযৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন না যোগায়।

এবতেদায়ী মাদ্রাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় প্রাপ্য অধিকার প্রদান করা হউক

সরকার প্রাইমারিকে সরকারি করেছে তাই শিক্ষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবে। তাহলে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের সাথে বেতন বৈষম্য কেন? এ কেমন বিচার?

``আর সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদ সৃজন করা হলে ১৩ তম গ্রেডে বেতন দেয়া হবে ’’ এই বাক্যটি ভুল। আমার মনে হয় ১২তম হবে।অর্থাৎ , প্রধান ১১,সহপ্রধান ১২,ও সহকারী১৩-তম গ্রেডে বেতন শুরু ।

আমাদের দেশে বেতন বৈষম্য যা অন্য দেশে নাই।প্রাথমিক শিক্ষক ১ম-৫ম শ্রেণি পড়ায়।আর ইবতেদায়ী শিক্ষকও ১ম-৫ম শ্রেণি পড়ায়।প্রাথমিক সহকারী বেতন পায় ১৩ কোডে।আর ইবতেদায়ী সহকারী বেতন পায় ১৬ কোডে।

এরা কি শিক্ষক? যারা সরকারের নুন খেয়ে উল্টো বিপরীত গায়। বর্তমান সরকার কি সরকারের পোষ্য সন্তানের মত তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ও বেতন বাড়িয়ে দিয়ে কি অপরাধ করেছে? এসব সুবিধাদির তুলনায় প্রাইমারির শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে কি পরিমাণ শিক্ষাদান করে আর তাদের শিক্ষাও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এসব শিক্ষকদের আন্দোলনের বিপরীতে তাদের সুযোগ-সুবিধা উল্টো কমিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে আমেরিকার মতো তাদেরকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন তারা এ ধরনের অনৈতিক ও অযৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন না যোগায়।