মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্টার করুন

মন্তব্যের তালিকা

Tabiatkowser, ২০ জুলাই, ২০২২
মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করার শর্তে এ প্রতিষ্ঠানগুলো একাডেমিক স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করা হলো। এটি বাহিরে জাস্ট একটা আইওয়াশ। বাহিরে কেবল প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন দেয়ার ফুলঝুরি আর মনের ভেতরে এসব দুর্নীতি বাজদের জল্পনা কল্পনা করছে কিভাবে মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে কোনমতে এসব গুন মানহীন প্রতিষ্ঠান গুলোর এমপিও করিয়ে দিয়ে দেশের টাকাগুলো নয় ছয় করা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই এসব দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
Tabiatkowser, ২০ জুলাই, ২০২২
জানা গেছে, নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের একাডেমিক স্বীকৃতি পাচ্ছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ফুলকুড়ি কলেজিয়েট স্কুল, সিরাজগঞ্জের বেলকুচির বেলকুচি শিশু একাডেমি, চাপাইনবয়াবগঞ্জের গোমস্তাপুরের বসনইল নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী তালতলা উচ্চ বিদ্যালয়। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো তথা মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতি পাচ্ছে,যেমন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার লায়ন মুজিব মুনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির রসূলপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পাঁচলাইশের চিটাগং সানসাইন স্কুল। চিটাগং সানসাইন স্কুলকে নিজস্ব জমিতে যাওয়া শর্তে মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠান এর অবকাঠামো মানদণ্ড শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ফলাফল নমুনা স্বরূপ কি তা যদি পুনখাপুংখ যাচাই করলে তখন আসল রূপ বেরিয়ে আসবে।
Tabiatkowser, ২০ জুলাই, ২০২২
শিক্ষক-কমচারীদের এমপিওভুক্ত না করে নিজস্ব তহবিল থেকে বেতন দেয়ার শর্তে একাডেমিক স্বীকৃতি পাচ্ছে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঢাকা, রাজশাহী, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডের আওতাধীন এসব প্রতিষ্ঠান নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়ার অনুমতি দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি জানিয়েছে। এটি মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কুচক্রী কাজকর্ম ছাড়া আর কিছুই নয়।
Tabiatkowser, ২০ জুলাই, ২০২২
এমপিও না দেয়ার শর্তে একাডেমিক স্বীকৃতি যেন এখন এটি রাতারাতি আলাউদ্দিন এর প্রদীপে পরিনত হয়ে গেছে। দেখা যায় এইমাত্র এমপিও না দেয়ার শর্তে একাডেমিক স্বীকৃতি দিল, তারপর কয়েক মাস যেতে না যেতে এসব লেজুড় বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও ধান্দাবাজ কমিটির সভাপতি মিলে শিক্ষা অধিদপ্তর এর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এদেরকে ম্যানেজ করে এমপিও নিয়ে আসে। উল্লেখ্য যে এই মোটা অংকের টাকাগুলো কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত শিক্ষক কর্মচারীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অংকের টাকা খতিয়ে নেয়। এই হলো বর্তমান ব্যাংগাচির মতো যত্রতত্র গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর হালচাল। অথচ দেশের শিক্ষার অবস্থা কোথায়? এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন ভালো মান সম্মত শিক্ষা। এসব শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বছরের পর বছর বেকারের কারখানা। অন্যদিকে বছরের পর বছর হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে সরকারের রাজস্ব থেকে কোটি কোটি টাকা। তাই এসব প্রতিষ্ঠান গড়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দেশের জন্য আদৌ কোন অর্থ বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।