নতুন কারিকুলামের দায়িত্ব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে কতটুকু সচেতন কিংবা কতটুকু তারা দায়িত্ব পালন করেছে তা কোন কাউকে না জানিয়ে উল্টো তাদেরকে প্রশ্ন করলে ভালো হতো। বলতে গেলে শুভঙ্করের ফাঁকি। নতুন কারিকুলাম প্রকাশের আগে যেভাবে ঢাকঢোল বাজানো হয়েছিল পরে দেখা গেল তার সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন মাদ্রাসার বইতে মূর্তির ছবি, হিন্দু ধর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন কথাবার্তা, বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যের গড়মিল, আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতির সাথে বিতর্কিত কথাবার্তা আর পুরো বই যেন গল্পের শেষ নেই। এখন প্রশ্ন হল শিক্ষার্থীরা কি শুধু গল্প শুনতে শুনতে থাকবে নাকি তারা এই মূল কথাগুলো শুনবে? মুল কথাগুলোর জন্য কি এত লেখা গল্পাকারে লেখতে হয় কি? শিক্ষার্থীদেরকে মূল কথা শেখানোর জন্য কি এত ধরনের আবোল-তাবোল গল্পের অবতারণা করতে হয়?
Tabiatkowser, ০৭ মে, ২০২৪
কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া দরকার? কেননা এত গাদাগাদি কথা বলতে বলতে পড়তে পড়তে তারা আসল বিষয় শিখবে কি করে? পুরো বইতে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের গল্প বলতে বলতে অধিকাংশ অভিজ্ঞতার আলোচনা বেড়ে যায় । উল্লেখ্য গাদাগাদি গল্পের কথার পাশাপাশি আরো রয়েছে কতক্ষণ অভিনয়,কতক্ষণ অংকন। এই ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কোন পথে এগুবে যা জাতির কাছে সীমাহীন প্রশ্ন থেকে যায়। যেখানে দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো বর্ণমালা পর্যন্ত ভালোভাবে উচ্চারণ করতে জানে না কিংবা লিখতে জানো না সেখানে এসব শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ ধরনের কারিকুলামের দিয়ে কি হবে? অন্যদিকে শিক্ষকেরা মূল্যায়ন করতে করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আসলে কি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে ভালো মূল্যায়নের নিক্তি ঠিক রাখতে পেরেছে নাকি অনুমান করে তাদেরকে মূল্যায়নের বিভিন্ন প্রতীক দিয়ে যাচ্ছেন সেটারও যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যায়। তাই আমলাদের দ্বারা কারিকুলামের খচড়া শিক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষকদের দিয়ে কারিকুলাম তৈরি করে ততসংগে শিক্ষকের অধিকার বাস্তবায়ন করার পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া এই শিক্ষাক্রম কোনদিন আলোর মুখ দেখবে কি না সন্দেহ।