যেখান থেকে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়েছে ঠিক সেখান থেকেই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে দিয়েছে এবং পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় গাইড বই নির্ভর হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া নির্ধারিত প্রশ্ন না থাকায় সৃজনশীল প্রশ্ন করার নামে গাইড প্রকাশকগণ একই প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক প্রশ্ন সৃষ্টি করে গাইড বইয়ের পাতার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, সে ক্ষেত্রে একটা একটা বইয়ের পাতা হাজার বারো শত থেকে দেড় হাজারের উর্দ্ধে যা ছাত্রদের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে অন্য দিকে ১৫০/= টাকার গাইড-এর দাম ছয় সাত শত টাকা যা অভিভাবকের জন্য প্রচন্ড অর্থনৈতিক দন্ড। যার কারনে অনেকে বই কিনতে হিম শিম খাচ্ছে, আর ভারী বই দেখে স্বল্প ও মাঝারী মানের শিক্ষার্থীরা স্নায়ু চাপে পিষ্ট হয়ে বইতে হাতই দিতে চাচ্ছে না। আমার মেয়ে ক্লাশ টেনে পড়ছে। এখানে উল্লেখ্য যে গাইড সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ ঠিকই কিন্তু সবাই জানি সারা দেশে গাইড ছাড়া চলছে না। আইন দেখে নয় বাস্তবতা দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য আমার বা আমাদের দাবী সৃজনশীলের পূর্ব কারিকুলামকে বাস্তবতার নিরিখে পরিবর্তন পরিমার্জন ও সংশোধন করে আবার পড়ালেখার যুগে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনা বা আনা যেতে পারে।