হাইস্কুলে ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ হবে অঞ্চলভেদে। আর স্কাউট, মিলাদসহ ২৮টির মতো কমন ফি নির্ধারণ করে দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুএকদিনের মধ্যে আদেশ জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে দৈনিক আমাদের বার্তার প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগনের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে মাসিক বেতন বেশি হবে, আর তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের বেতন কম হবে। জেলা পর্যায়ের স্কুলের বেতন নির্ধারণ করবেন জেলা প্রশাসন (ডিসি)। আর সিটি করপোরেশন এলাকার স্কুলের ফি নির্ধারিত হবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আঞ্চলিক উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বাধীন কমিটি।
জানা গেছে, তৈরি হতে যাওয়া নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যেসব জেলার অবস্থান ভালো, মানুষজন উচ্চবিত্ত সেসব অঞ্চলের স্কুলগুলোর টিউশন ফি তুলনামূলক বেশি হবে। অর্থাৎ ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বগুড়া অঞ্চলের স্কুলের মাসিক বেতন তুলনামূলক বেশি রাখা হবে। অন্যদিকে যেসব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে সেসব এলাকার স্কুলের ফি কম নির্ধারণ করা হবে।
বেসরকারি স্কুলের উন্নয়ন ফি হবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। পৌরসভা পর্যায়ের স্কুলের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি ধরা হয়েছে ২০০ টাকা। আর জেলা সদরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ ফি হবে ৫০০ টাকা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ফি বাবদ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ২০০ টাকা করে ফি নিতে পারবে।