ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ডেরকা পুকুর এখন অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত। এবার শীতের শুরুতেই পুকুরটিতে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। এ কারণে অনেকে পুকুরটির নাম দিয়েছে পাখির পুকুর।
ডেরকা পুকুরটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বান্দিগড় ডেরকা পাড়ায় অবস্থিত। আয়তন এক একরেরও কম। পুকুরটিতে প্রচুর ডেরকা মাছে পাওয়া যায় বলেই এর নামকরণ ডেরকা পুকুর। ডেরকা পুকুরটির আশে পাশে অনেক বড় বড় পুকুর থাকলেও অতিথি পাখিরা এই পুকুরটিকেই বেছে নিয়েছে তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে।
পাখিগুলো রাতে পুকুরটির দুই ধারের বাঁশ ঝাড়ে থাকে। আর ভোর হলেই খাবারের সন্ধানে পুকুরে নেমে আসে। পুকুরটিতে কচুড়িপানার সবুজ রঙ ও ফুলের সাদা রঙের মাঝখানে পান কৌড়িসহ বেশ কয়েকটি জাতের অতিথি কালো, সোনালি রঙের কয়েক শতাধিক পাখির বিচরণ ও শব্দ মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের।
জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘি অতিথি পাখির অভয়াশ্রম। পাশাপাশি ডেরকা পুকুর এবারও অতিথি পাখির আগমনে মুখর। আর এসব পাখি দেখতে স্থানীয়সহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে।
পাখি দেখতে আসা আরমান হোসেন নামে এক দর্শনার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কয়েক দিন হলো ঢাকা থেকে এসেছি। লোকমুখে অতিথি পাখির কথা শুনে দেখতে এলাম। এখানে এসে আমি মুগ্ধ। পাখির গুঞ্জনে পরিবেশটা ভালোই লাগছে।
বান্দিগড় ডেরকা পাড়ার স্থানীয় সাহাবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এর আগে এখানে এমন পাখি দেখা যায়নি। এবার এই পুকুরটিতে কয়েকশ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি এসেছে। এসব দেখতে অনেক মানুষ আসছেন।
স্থানীয় সমসের আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এখানে অনেক পাখি এসেছে। পাখিগুলোকে যেনো কেউ না ধরে বা তাদের বিচরণে বাধা না দেয় তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিশেষভাবে নজর রাখার অনুরোধ করছি।
অতিথি পাখির আগমন ঘটলেও এখনও পুকুরটি তাদের জন্যে অভয়াশ্রম হয়ে উঠেনি বলে অভিযোগ করছেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি কিছু পাখি শিকারী ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি ধরার খেলায় মেতেছে। জীব বৈচিত্র রক্ষায় তাদের থামানো জরুরি।
জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পাখিদের সুরক্ষার বিষয়ে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত আছে। সেখানে পাখিদের অভয়াশ্রম করতে না পারলেও কেউ যাতে তাদের নিধন করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখা হবে।