অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম : অধ্যাপককে মারধরে অভিযুক্ত সেই চেয়ারম্যান কারাগারে

জবি প্রতিনিধি |

খুলনার কয়রা উপ‌জেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কা‌মিল মাদরাসার অধ‌্যক্ষ নি‌য়োগ‌কে কেন্দ্র ক‌রে নি‌য়োগ বোর্ডের সদস‌্য জগন্নাথ বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের অধ‌্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারধর ও নিয়োগসংক্রান্ত কাগজে জোর করে সই নেয়া সেই ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার আসা‌মিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ওই মাদরাসার ম‌্যা‌নে‌জিং কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-আল মাহমুদ, মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, মুজিবর রহমান ও মো. রাসেল হো‌সেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।

এর আগে গত ২১ মে জা‌মিন স্থ‌গিত ক‌রে দুই সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে ‌নিম্ন আদাল‌তে আসা‌মি‌দের আত্মসমর্প‌ণের নি‌র্দেশ দেন চেম্বার জজ আদালত।

গত ১৬ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমিনুল ইসলামের আদালত কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়‌নের চেয়ারম‌্যান ও নি‌য়োগ বো‌র্ডের সভাপ‌তি‌ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মাসুদুর রহমান, মো. মজিবর রহমান ও মো. রাসেল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে ১৭ মে রিভিউ আবেদন করে। সে মোতাবেক চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি ইনায়েতুর রহমান গত ২১ মে বিস্তারিত শুনে ওই অন্তর্বর্তী জামিন স্থগিত করেন এবং দুই সপ্তা‌হের ম‌ধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদরাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাস করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048251152038574