গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির কথিত সাবেক ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে তদস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘ দিন যাবত প্রাতষ্ঠানটি থেকে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের সচেতন ভূমিকার কারণে তারা সফল হয়নি। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে সরিয়ে তদস্থলে দলীয় অনুগত শিক্ষক স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
ওই প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের গৃহীত সমুদয় সরকারি বেতন ভাতা ফেরতযোগ্য বলেও সুপারিশ করা হয়। যার স্মারক নং- ডিআইএ/গাজীপুর/২২১২-এস/ঢাকাঃ ২৪৯৪/৪, তারিখ -১৯/০২/২০১৩। সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যার নিয়োগ প্রক্রিয়াই বৈধ নয় তিনি আবার একইভাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ারও চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারাই বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে গত ১৯ আগস্ট আমাকে অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার।
এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নই। বরং আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোন ভূমিকা ছিল না। এটি ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্রদের কাজ।