অফিসকক্ষে ঢুকে মারধরের অভিযোগে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের ১২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমরুল হক। মামলায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা লুট করা অভিযোগও তুলেছেন অধ্যক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, রসায়নের শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, ইংরেজির প্রভাষক নাজমুস সাদাত, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক জেহাদুল ইসলাম ও গোলাম রাব্বানী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও শহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের প্রভাষক শীষ মোহাম্মদ, পরিসংখ্যানের প্রভাষক নুরুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক জাফর ইকবাল, বাংলার প্রভাষক শাহাদাৎ হোসাইন ও মনিরুল ইসলাম এবং মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ অক্টোবর বিকালে দলবদ্ধভাবে তার অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে তালাবন্ধ করে পাহারায় বসেন ওই শিক্ষকরা। ঘটনায় অধ্যক্ষ গুরুতর জখম হন। আসামিরা কলেজের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন ও ৫০ হাজার টাকা লুট করেন। খবর পেয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সোমবার বিকালে গোদাগাড়ী থানায় অধ্যক্ষ (ভারপাপ্ত) উমরুল হক এ মামলা করেন। দলবদ্ধভাবে মারধর ও হত্যাচেষ্টা এবং সম্পদ নষ্টের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ আগস্ট তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে তার অফিসকক্ষে মারধরের অভিযোগে কলেজের ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল।
সম্প্রতি আদালত ওই সব শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সাবেক অধ্যক্ষকে মারপিটের মামলার অন্যতম চার্জশিটভুক্ত আসামি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উমরুল হকও; যিনি ২১ অক্টোবর অন্য শিক্ষকের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন।