অধ্যক্ষের অত্যাচারে হুমকির মুখে শিক্ষিকার জীবন

আমাদের বার্তা, রাজশাহী |

আমাদের বার্তা, রাজশাহী: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলির অত্যাচারে একই কলেজের শিক্ষিকা সৈয়দা রেহানা আশরাফীর জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।

কলেজ জাতীয়করণের জন্য ভূমিকা পালন করায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত তাকে ইভটিজিং, র‌্যাগিং, প্রাণনাশের হুমকি, বেতন আটকে রাখা, পেশাগত ক্ষতিসাধন করা, ছবি তুলে ভাইরাল করার হুমকি, চাকরি স্থায়ীকরণে প্রতিবন্ধকতা, ছুটির আবেদন মঞ্জুর না করা, মিথ্যা অভিযোগ তুলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়াসহ নানান অভিযোগ উঠেছে ওই অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে। এসব অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে ওই কলেজের ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক সৈয়দা রেহানা আশরাফী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব, মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েও কোনো ফলাফল না পাওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি বলেন, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন এবং তদন্তও হয়েছে। সেই তদন্ত আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি কলেজের কোনো শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখেন না। তিনি বিভিন্ন সময়ে ছুটি না নিয়েই কলেজ উপস্থিত হয়নি। সেগুলোর প্রমাণ আমার কাছে আছে।

এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. মো. আলমগীর কবীর বলেন, ওই কলেজের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আমরা সরেজমিনে তদন্ত করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ওই কলেজের নানান সমস্যা রয়েছে। আমরা তা ঠিক করার জন্য যাদের যেমন নির্দেশনা দেয়া দরকার দিয়েছি। আর তদন্তের মূল প্রতিবেদন আমরা তৈরি করছি। তৈরি হলেই ঢাকায় পাঠানো হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050139427185059