কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বিক্রিসহ কয়েকটি খাতে অনিয়ম করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
সেই সাথে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। আর যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তিনি বরখাস্ত করেছেন উপাধ্যক্ষকেও।
নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষক-সভাপতির দ্বন্দ্বের কারণে কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের ঐতিহ্য ক্ষুণ্ন হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে কলেজে মার্কেট নির্মাণ, কয়েকশ' দোকান বিক্রি আর তহবিলের কোটি কোটি টাকার আত্মসাৎ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে অর্থের বিনিময়ে প্রতিটি বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ দেয়ারও অভিযোগ আছে।
একারণে দুই বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না শতাধিক শিক্ষক। এনিয়ে শুরু হয় কোন্দল, বিভক্ত হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা।
সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার এমপিও কর্তন করে ফৌজদারি মামলার নির্দেশনা দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
এদিকে, অধ্যক্ষের অভিযোগ ও দুর্নীতি ধরায় নিয়ম না মেনে বরখাস্ত করা হয় উপাধক্ষ্যকে। তবে সব অনিয়ম আর জালিয়াতির বিষয় অস্বীকার করে নওয়াব আলী বলেন, এ বিষয়ে মামলা চলছে। আর আর্থিক অনিয়মের জন্য সভাপতিকে দায়ী করেন তিনি।
কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের অধ্যক্ষ নওয়াব আলী জানান, শিক্ষাবোর্ড থেকে যে তদন্ত হয়েছে তার কোনও রিপোর্ট এখনও আসেনি।
দুর্নীতির বিষয়ে আক্ষেপ করে সাবেক সভাপতি আজগর আলী বলেন, 'কলেজটি এখন বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।' এদিকে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি রোধ করে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।