দৈনিক শিক্ষাডটকম, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দুই প্রভাষককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কলেজের গভর্নিং বডি। অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে বেতনের বিপরীতে ১৫ লাখ টাকা পার্সোনাল ঋণ উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন, প্রভাষক মো. আরিফুল হক ও রাশেদুর রহমান।
গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ইউএনও মো. আবিদুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযুক্ত দুই প্রভাষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পরে গত ২০শে এপ্রিল গভর্নিং বডির সভায় স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যটা পাওয়ায় জড়িতদের নীতিমালা অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, কারণ দর্শানোর জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। সে বিষয়ে পরবর্তীতে গভর্নিং বডির যে সভা অনুষ্ঠিত হবে সেই সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান অভিযোগকারী অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন।
স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট ধারা বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মো. রুকুনুজ্জামান আকন্দ বলেন, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ধারা বাজার অগ্রণী ব্যাংক থেকে বেতনের বিপরীতে ১১ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন হালুয়াঘাট টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক আরিফুল ইসলাম।
এক্ষেত্রে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করেন বলে তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন। স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, একই প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে গেল এপ্রিল মাসের ২ তারিখে অগ্রণী ব্যাংক ধারা বাজার শাখা থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করেন একই কলেজের প্রভাষক রাশেদুর রহমান। কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহাদত হোসেন বলেন, স্বাক্ষর জাল করে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যাংক থেকে যে ঋণ উত্তোলন করেছেন তা ফৌজদারী অপরাধের শামিল।
আশা করি গভর্নিং বডি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে এবং আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাশেদুর বলেন, জরুরি মুহূর্তে স্বাক্ষর লাগলে সেই সময়ে অধ্যক্ষকে না পাওয়ায় নিজেরাই স্বাক্ষর দিয়ে দেই। এতে তাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা ছিলো না। তিনি আশা করেন, গভর্নিং বডি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।