অনার্স-মাস্টার্সের সনদ নিয়ে লাভ নেই : শিক্ষামন্ত্রী

ঢাবি প্রতিনিধি |

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অনার্স-মাস্টার্সের সনদ নিয়ে লাভ নেই, যদি সেটি কাজে না লাগাতে পারেন। যারা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবেন, অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কারিগরিতে আসলে অনেক দ্রুত কর্মসংস্থান হবে, অনেক দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। পৃথিবীর যতগুলো দেশ এগিয়ে গেছে তারা কারিগরি শিক্ষার ওপর মনোযোগ দিয়েই এগিয়ে গেছে, সে কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। যারা শিক্ষাকতা করবেন, গবেষণায় যাবেন, সুনির্দিষ্ট পেশায় যাবেন তারা উচ্চ শিক্ষায় গ্রহণ করুন।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিগত তিনটি শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারিনি। তবে এখন আমাদের সুযোগ আছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার এবং সফলতা লাভ করার। এসব বিবেচনায় ২১ শতকের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে। মুখস্ত, সনদ, পরীক্ষা নির্ভর যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল তা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানের পাশাপাশি যে দক্ষতা অর্জনের শিক্ষার পাশাপাশি সফট স্কিলগুলো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, একটা নতুন শিক্ষাক্রমে যেতে হলে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমরা এখনো সেই ই স্টেজেই আছি। ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ এ তিন বছর মিলিয়ে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ বছর বইগুলো পরীক্ষামূলক গেছে। গত বছর আমরা ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলট করেছি, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, এ বছর মাধ্যমিকে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে বইগুলো দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষক শিক্ষাবিদদের কাছে ফিডব্যাক নেবো এবং বইগুলো পরিমার্জন ও পরিশীলন করা হবে। এবার ষষ্ঠ ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো গিয়েছে এ নিয়ে কারো অস্বস্তি-আপত্তি থাকতেই পারে। তাই আমাদের এ বিষয়গুলো জানাবেন, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী বছর জন্য সংশোধন করব এবং বাকি শ্রেণির বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করা হবে।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মাহফুজুল ইসলাম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে অধ্যাপক হচ্ছেন যারা ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha মসজিদ ইবাদাতের পাশাপাশি জ্ঞানচর্চারও একটি কেন্দ্র হতে পারে: ঢাবি উপাচার্য ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল মনছুর ভূঁঞার ঘুষ বাণিজ্য দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030441284179688