অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ায় ঢাকার আশুলিয়া এলাকার টাঙ্গাইল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এক নারীর সাথে তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে কয়েকমাস আগে। এছাড়া বিধি বহির্ভূতভাবে ভিন্ন ভিন্ন দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে চাকরি করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বোর্ড অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এছাড়া ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার পাঠানো প্রতিবেদনে একই সাথে দুইপদে চাকরির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ জারি করেছে ঢাকা বোর্ড।
বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভুঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে যে অনৈতিক ভিডিও ক্লিপ পাওয়া গেছে তার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। একজন প্রধান শিক্ষক যদি কোন অনৈতিক কাজে জাড়িয়ে যান এবং সেটি যদি ভিডিও হয়-তাহলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াসহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই আবদুল লতিফের প্রতিষ্ঠান প্রধান থাকা যুক্তিসংগত নয়।
এছাড়া মো. আবদুল লতিফ একই সাথে দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান (স্কুল এবং কলেজ) হিসেবে চাকরি করে আসছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। তাই প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফকে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিকে এ আদেশ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা জানান, একজন প্রধান শিক্ষক নারীদের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাকে ওই পদে রাখার কোন যুক্তি নেই। দেরিতে হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় অভিভাববকরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তারা আবদুল লতিফকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান।
তবে, লতিফের পক্ষে দুটি জাতীয় পত্রিকার সাভারের স্থানীয় দুইজন প্রতিনিধি ব্যাপক তদবির করেছেন। আবদুল লতিফের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার মিছিল হলেও তা ঘুরিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আরুপ নামের একজন নামধারী সাংবাদিক।
এছাড়া কথিত মানবাধিকার ও সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিচয়দানাকরী জনৈক আলিনুর ও তাদের পরিবারের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সদস্যরাও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। এই সিন্ডিকেট শাহীন ও সৃষ্টি পরিবারের কোচিং সেন্টারগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর রয়েছে সখ্য।