বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, কেউ অতি উৎসাহী হয়ে, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজের বীরত্ব তুলে ধরতে অন্যায়ভাবে নির্দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন। এ কাজগুলা যারা করেছেন তারা অন্যায়কারী। তিনি যদি পুলিশের কেউ হন, তার বিচার করতে হবে। পুলিশের যদি বিচার না হয় তাহলে আরেক জনের ক্ষেত্রে বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মানিকগঞ্জে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিমিয়কালে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সব সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে তদন্তের মাধ্যমে বা মামলার মাধ্যমে বা যে কোনো মাধ্যমে হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। অন্যায় অন্যায়ই, কাজেই যে দোষী, তার বিচার হতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, মামলায় অনেক সময় নির্দোষ মানুষের নাম উঠে আসার কথা শুনা যাচ্ছে, তারা হয়রানি হচ্ছেন। কেউ কেউ এই মামলায় নাম দেওয়া, নাম কাটা নিয়ে ব্যবসাও করছে। আপনারা শুধু এটুকু খেয়াল রাখবেন, আমাদের যে ভাইয়েরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের নামটি যেন এইভাবে অপব্যবহার না করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদ ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিহত রফিকের পরিবার ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা আন্দোলন চলাকালীন অভিজ্ঞতা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ ১০ জনের একটি সমন্বয়ক টিম সকাল ১০টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে পৌঁছান। এরপর জেলা-উপজেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা অংশ নেন। দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মানিকগঞ্জের শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।