অন্যের ইনডেক্সে ১৭ বছর বেতন তোলেন শিক্ষক

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজে চাকরি করতেন শরিফুল ইসলাম। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে তিনি কলেজের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এসময় তার ইনডেক্স নম্বর ছিল ৮৩২২৩৬।

শরিফুল ইসলাম চাকরি ছেড়ে চলে গেলে তার জায়গায় ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে নিয়োগ হয় আবুল হোসেন রাব্বির। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এমপিওভুক্ত হন। তবে তারও ইনডেক্স নম্বর হয় ৮৩২২৩৬। একই ইনডেক্স নম্বর দিয়ে ১৭ বছর ধরে বেতন তুলছেন এ শিক্ষক। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশেই তিনি এ কাজ করে যাচ্ছেন।

নিয়মানুযায়ী কলেজে বা স্কুলে কোনো শিক্ষক নতুন যোগদান করলে তার আলাদা ইনডেক্স নম্বর থাকবে। এ ইনডেক্সই হলো ওই শিক্ষকের পরিচয়। তবে কোনোভাবেই একজন শিক্ষকের ইনডেক্স আরেকজন ব্যবহার করতে পারবেন না। অথচ ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শিক্ষক রাব্বি অন্যের ইনডেক্স ব্যবহার করে ১৭ বছর ধরে বেতন-ভাতা তুলে আসছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম (বর্তমানে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে কর্মরত) বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কোনো ইনডেক্স নেই। বিসিএস ক্যাডারদের কোনো ইনডেক্স হয় না। আমি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দেই চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। এখন আমার নামে বেতন এলে আমারতো সই লাগবে। আমার নামে বেতন আসছে না। তবে আমার ইনডেক্স ব্যবহার হচ্ছে কি না সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

তবে এ বিষয়ে জানতে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এ কারণে তিনি আত্মগোপনে আছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান শাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, এটি জালিয়াতি হতে পারে। তবে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ এলে বিষয়টি দেখবো। কিন্তু আমার এখানে এমপিও নিয়ে বা ইনডেক্স নিয়ে কোনো কাজ হয় না। এটি ঢাকা থেকে হয়। তারাই বলতে পারবেন। তারা যদি আমাদের কোনো নির্দেশনা দেন সেটি আমার করতে পারবো।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন কুমার দাস বলেন, একজন শিক্ষকের ইনডেক্স অন্যজন ব্যবহার করতে পারবেন না। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।

জানতে চাইলে রাজবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজির শিক্ষক আবুল হোসেন রাব্বি বলেন, ‘আমি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ নিয়োগ পেয়েছি। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এমপিও হয়েছে। তবে আমার ইনডেক্স আগে অন্য কারও ছিল কি না সেটি আমার জানা নেই। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ - dainik shiksha পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha সড়ক-রেলপথ ছাড়লেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম - dainik shiksha ফেসবুকে সতর্কবার্তা দিলেন সারজিস আলম আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023980140686035