অপহরণের ৭ দিন পর মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন ছাত্র

বান্দরবান প্রতিনিধি |

অপহরণের ৭ দিন পর ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের কলেজছাত্র মো. খোরশেদ আলম। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত ২টার দি‌কে সদর ইউনিয়ন গোয়ালীয়া খোলা এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন।

  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী বাঘমারা পাড়া থেকে খোরশেদ, তার ছোট ভাই সফি ও স্থানীয় মংসাহ্লা মার্মাকে অপহরণ করে ৫-৬ জন অস্ত্রধারী। পরে সফি ও মংসাহ্লাকে বটতলী বাঘমারা পাহাড়ে ছেড়ে দিয়ে খোরশেদকে ক্যামালং পাড়ার দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারী দলটি। 

প‌রে ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় খোরশেদের বাবা মো. মুন্সি মিয়ার কাছে মোবাইলে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুন্সি মিয়া দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হলেও অপহরণকারীরা তাকে পুরো টাকা সংগ্রহ করে যোগাযোগ করতে বলে। পরবর্তীতে বুধবার দুপুর ৩টার দিকে মুক্তিপণের ৮ লাখ টাকা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকায় পৌঁছে দিলে ওই দিন রাত ২টার দিকে খোরশেদকে গোয়ালিয়া খোলা এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন জানান, কুহালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুন্সি মিয়ার ছেলে খোরশেদ আলমকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ নি‌য়ে অপহরণের ৭ দিন পর ছেড়ে ‌দি‌য়ে‌ছে। এর আগে গত ২০ এপ্রিল খোরশেদ ও তার ছোটভাই সফি ও মংসাহ্লা মার্মাকে অপহরণ করে ৫-৬ জন সন্ত্রাসী। এ সময় অর্ধেক রাস্তা থেকে দুজনকে ছেড়ে দিলেও খোরশেদ আলমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কলেজছাত্র অপহরণের পর ছাড়া পেয়েছে বলে শুনেছি। তবে কলেজছাত্রকে অপহরণের বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ বা জিডি করেননি বলেও জানান তিনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005141019821167