অবশেষে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারের ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) দেয়া শুরু হলো। আজ ৩ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরাধীন নয়টি অঞ্চলের নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং হিসেবে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ইএফটিতে পাঠিয়েছে। ঢাকার একটা ও বরিশাল একটা প্রতিষ্ঠানের প্র্রধান দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, তারা বলেছেন ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। তাই তারা এখনই কিছু বলতে চান না।
ইএফটি চালুর ফলে এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় চার দশকের ভোগান্তির অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
তবে, দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন সাবেক মহাপরিচালক, ফিনান্স পরিচালক ও সাধারণ প্রশাসন শাখার উপপরিচালক ও সহকারি পরিচালকদের সঙ্গে এমপিওর টাকা বিতরণকারী ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ইএফটির উদ্যোগ আটকে ছিলো। বেতন দেরিতে ছাড় হলে ব্যাংকের আর্থিক লাভ। সেখান থেকে কিছু অবৈধ সুবিধা পেতেন শিক্ষা অধিদপ্তরগুলোতে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তা। এছাড়া পলাতক দুর্নীতিবাজ শিক্ষক নেতা শাহজাহান সাজুসহ কয়েকজন বেসরকারি শিক্ষক নেতাও চাননি ইএফটি হোক। তারাও শিক্ষা অধিদপ্তর ও ব্যাংক থেকে নানা সুবিধা পেতেন।
সূত্র জানায়, সারা দেশে শতভাগ শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন এই পদ্ধতিতে দিতে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি লেগে যাবে।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয় অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে ইএফটিতে বেতন দেয়া শুরু হবে।
সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও সিস্টেমে সংরক্ষিত সব শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্যের সঙ্গে এনআইডির তথ্য সংযুক্ত করে ডাটাবেস তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে অর্থ বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমের (আইবাস ডাবল প্লাস) সঙ্গে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) স্থাপন করতে হবে।
বর্তমানে ত্রিশ হাজারের বেশি এমপিওভুক্ত সাধারণ হাইস্কুল-কলেজ ও মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা হাতে পেতে চার দশকের পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। তিনটি অধিদপ্তর থেকে এমপিওর খবর জানতে শিক্ষকদের নির্ভর করতে হয় শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সরকারি ওয়েবসাইটের ওপর।
এমপিওর চেক ছাড়ের খবর প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে অধিদপ্তরগুলো থেকে চিঠি পাঠানো হয় তথ্য অধিদপ্তর এবং পত্র-পত্রিকায়।