রাজশাহীতে অবশেষে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে মারধরের শিকার বাবার মামলা নিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী রেলওয়ে জিআরপি থানায় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী মতিহার থানা কৃষক লীগের সদস্য নীলমাধব।
পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে র্যাব তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। তাঁরা হলেন মেরাজ, ফরহাদ ও আখের আলী। তবে মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুর রউফ প্রিন্সসহ পাঁচ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
জিআরপি থানার ওসি গোপাল কর্মকার বলেন, বাদী প্রথমে আমাদের কাছে আসেননি। মতিহার থানায় অভিযোগ করেছিলেন। আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসামাত্র মামলা নিয়েছি। পরে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আসামিদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় আসামি ফরহাদের স্ত্রী ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শাপলা খাতুন, আসামি আবদুর রউফ প্রিন্সের বাবা আবদুস সামাদ মাস্টার, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জহির উদ্দীন তেতু বক্তব্য দেন।
স্বজনদের নির্দোষ দাবি করে শাপলা খাতুন বলেন, নীলমাধব তাঁর মেয়েদের দিয়ে খারাপ কাজ করান। প্রেমের ফাঁদে ফেলে লোকজনকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেন। এসব কারণে তাঁরা কারও বাড়িতে বেশিদিন ভাড়া থাকতে পারেন না।
আবদুস সামাদ মাস্টার বলেন, আমার ছেলেকে শিবির নেতা ইমন মেরে আহত করেছিল। নীলমাধব ইমনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার সময় ধাক্কা লেগে নীলমাধব পড়ে আহত হন। তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্তের তথ্য সঠিক নয়।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে নগরীর মেহেরচণ্ডী এলাকার বাসিন্দা নীলমাধব অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে বর্ষা রানীকে রাস্তাঘাটে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুর রউফ প্রিন্স, মেরাজ, রায়হান, মামুনসহ কয়েক বখাটে। এর প্রতিবাদ করায় গত ১২ আগস্ট রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে মতিহার, চন্ডিমা ও জিআরপি থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি।