বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত ১৬শ ব্যাচের কর্মকর্তারা অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জোরালো দাবি জানিয়েছেন। ২৬ বছর আগে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দেয়া এসব কর্মকর্তা বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। অধ্যাপক পদের জন্য বিভাগীয় পরীক্ষা ও সিনিয়র স্কেল পদোন্নতি পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা। কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে এখনও পদোন্নতি বঞ্চিত তারা।
এ পরিস্থিতে ১৬শ বিসিএস ফোরামের পক্ষ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের কাছে আবেদন করেছেন সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও মহাসচিব ড. রেহানা খাতুন।
১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই নিয়োগ পেয়ে তারা ওই বছরেরই আগস্টে দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে তাদের চাকরির ২৬ বছর পাঁচ মাস পূরণ হয়েছে। অধ্যাপক পদে পদোন্নতিযোগ্য এ ব্যাচের অনেকেই ১০ থেকে ১২ বছর ধরে সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরি করছেন।
১৬শ বিসিএস ফোরাম নেতারা জানান, ১৬শ বিসিএস এর অনেক শিক্ষকের সরাসরি ছাত্র-ছাত্রী এখন একই ক্যাডারে সহযোগী অধ্যাপক পদে একই বেতন স্কেলে চাকরি করছেন। কর্মক্ষেত্রে যা খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলছে কর্মকর্তাদের। অন্য ক্যাডারেও এই ব্যাচের অনেক শিক্ষকের সরাসরি ছাত্র-ছাত্রী উচ্চতর পদে ও গ্রেডে চাকরিরত।
আবেদনে আরো জানা যায়, ১৬শ বিসিএস কর্মকর্তাদের অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে সরকারের তেমন কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। কারণ অধিকাংশ কর্মকর্তাই সহযোগী অধ্যাপক পদে টাইমস্কেল পেয়ে চতুর্থ গ্রেডের শেষ ধাপে আছেন। তবে একাধিক বছর ধরে বেতন বৃদ্ধি থেমে থাকায় এ ব্যাচের কর্মকর্তারা চরম হতাশায় রয়েছেন।
পদোন্নতি প্রত্যাশী সহযোগী কর্মকর্তাদের মধ্যে ৫৭ জন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে, ১৩৪ জন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এবং ১৭৫ জন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে চাকরি শেষ করে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে চলে যাবেন। যা হবে বঞ্চনাদায়ক।
এ ব্যাচের অনেকের বয়স, বিষয় ও মেধাক্রম বিবেচনায় সহযোগী অধ্যাপক হতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি না পেয়ে পিআরএল গমনের আশংকা দেখা দিয়েছে। সহযোগী অধ্যাপক পদে থেকে চাকরি শেষ করলে আগামীতে শিক্ষা ক্যাডারে মেধাবীরা চাকরি করতে উৎসাহ হারাবে। রাষ্ট্রে শিক্ষার গুণগত মান ব্যাহত হবে।
নেতারা আরো বলেন, কলেজের বিষয়ভিত্তিক অধ্যাপকদের শূন্য পদ, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের শূন্য পদ, মাউশি অধিদপ্তরসহ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পদ সৃষ্টির জন্য বিবেচনাধীন প্রস্তাবিত অধ্যাপক পদগুলো, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক শূন্য হতে পারে এমন পদগুলো এবং আর্থিক সংশ্লেষ না থাকার বিষয়টিকে সানুগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতি প্রত্যাশী সব যোগ্য সহযোগী অধ্যাপকের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়ার জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।