দেশের অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য ১০ সদস্যের একটি প্যানেল গঠনের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে প্রধান করা হয়েছে এসডিজি বিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সচিবালয়ের একটি সূত্র। তবে প্যানেলের সদস্যদের নাম প্রকাশ না করা হয়নি।
জানা গেছে, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন এই প্যানেলকে ৯০ দিনের মধ্যে শ্বেতপত্র তৈরির দায়িত্ব দেয়া হবে। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সময় বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তা মোকাবিলার লক্ষ্যে কৌশলগত সুপারিশগুলোর রূপরেখা তুলে ধরা হবে। শ্বেতপত্রতে বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেবে।
শ্বেতপত্রটি বেশ কয়েকটি মূল ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব দেবে।সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনাঅভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, বিনিয়োগ এবং ভর্তুকিসহ সরকারি ব্যয় এবং বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন পরীক্ষা করা। মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা উৎপাদন, সরকারি সংগ্রহ এবং খাদ্য বিতরণ প্রক্রিয়া মূল্যায়ন।
বাহ্যিক ভারসাম্য: রপ্তানি ও আমদানি গতিশীলতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বৈদেশিক ঋণের মতো বিষয়গুলোর মূল্যায়ন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিজ্বালানি খাতে চাহিদা, সরবরাহ, মূল্য, ব্যয় এবং ক্রয় চুক্তি বিশ্লেষণ। বেসরকারি খাতঋণ, বিদ্যুৎ, সংযোগ এবং সরবরাহের সুযোগ পর্যালোচনা করা।
কর্মসংস্থান
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি কাঠামো এবং যুব কর্মসংস্থান সমস্যাসহ দেশীয় এবং বিদেশে উভয় কর্মসংস্থানের শর্তগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা।কমিটি সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সাচিবিক সহায়তা নিয়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করবে।
এর আগে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে ২১ আগস্ট একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, বিনিয়োগ এবং ভর্তুকিসহ সরকারি ব্যয় এবং বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন পরীক্ষা করা বিষয়গুলো শ্বেতপত্রে তুলে ধরা হয়।