অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নেই, বাজেটে সমাধান অপ্রতুল : সিপিডি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

চলমান অর্থনীতির সংকটগুলো মোকাবিলার ক্ষেত্রে ঘোষিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেছেন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের বাজেট এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন অর্থনীতির মূল সূচকগুলো ভেঙে গিয়েছে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এখন আর নেই। এখানে নানামুখী চাপ রয়েছে। বহির্খাতের চাপ রয়েছে, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স যেভাবে আসার কথা ছিলো সেভাবে আসছে না। 

বৃহস্পতিবার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সিপিডির নির্বাহী।

এর আগে জাতীয় সংসদে ডিজিটাল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন।

তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো মূল্যস্ফীতির চাপ, সেটিও রয়ে গেছে। পুরো অর্থবছর জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিলো।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যার প্রেক্ষিতে আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঘোষণা হলো-এগুলো বাস্তবতা বিবর্জিত। এগুলো অর্জন সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত- মূল্যস্ফীতির চাপ বা এর লাগাম টানার জন্য যে সমাধান দেয়া হয়েছে এগুলো সম্ভব না।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এটি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার তা বাজেটে নেই। যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা যেমন বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর থাকে সেখানে যদি কর রেয়াত দেয়া যায় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু এখানে কোনো উদ্যোগ নেই।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সেটি বাড়ানো হয়েছে। এটি ভালো। কিন্তু পাশাপাশি দেখছি কেউ যদি সরকারি সেবা পেতে চায় তাদেরকে কর রিটার্ন সাবমিট করতে হবে, আয় যেটাই হোক কর ২ হাজার টাকা আরোপ করা হয়েছে। এটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে অবিবেচনা প্রসূত। এটি তুলে দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, বাজেটে আমরা যেসব সংস্কার প্রস্তাব করেছিলাম, সেগুলোর কোনো প্রতিফলন নেই। এখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তের প্রতিফলন রয়েছে। বাজেট ডকুমেন্টে তিনবার আইএমএফের কথা বলা হয়েছে। তবে পরিষ্কারভাবে আইএমএফের কিছু বলা হয়নি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণার দাবি জামায়াতের শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা - dainik shiksha শিক্ষক আত্মগোপনে দায়িত্বে ছাত্ররা ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি - dainik shiksha ভারতে পাঠ্যবই ছাপানোর বিপক্ষে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha ভয়ংকর বিপদের মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0058619976043701