সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে দেশজুড়ে সহিংস পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বিচার এবং গ্রেফতার সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে চলমান এইচএসসির অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলোয় না বসার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের অর্ধশতাধিক কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছে, একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীও যদি কারারুদ্ধ থাকে, তাহলে তারা পরীক্ষায় বসবে না। গত বুধবার থেকে কলেজগুলোর ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত একাধিক বিবৃতি পাঠানো হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফেসবুক আইডি, গ্রুপ ও পেজে তা শেয়ার করে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে নটর ডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাকলিয়া সরকারি কলেজ চট্টগ্রাম, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল কলেজ, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ সিলেট, বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধুনট সরকারি ডিগ্রি কলেজ রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রয়েছে। মাদরাসার মধ্যে রয়েছে– দারুল উলুম কামিল মাদরাসা চট্টগ্রাম, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা লক্ষ্মীপুর।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজের প্রতিটি গ্রুপের ক্যাপ্টেন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতার শিক্ষার্থী বন্ধুদের কারাগারে রেখে তারা পরীক্ষায় বসতে পারে না। এ আন্দোলনে তাদের সমর্থন রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে রাখা হয়েছে পরীক্ষার সূচি।
আইনজীবী নিয়োগ
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হেফাজতে থাকা তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের আইনি সহায়তা দিতেই মন্ত্রণালয় আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে বলে জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।