ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগঅর্ধাক্ষর গাছের সিকি অক্ষর ফল!

সিদ্দিকুর রহমান খান |

অর্ধাক্ষর শিক্ষকরা সিকিঅক্ষর শিক্ষার্থী তৈরি করছেন। বছর চারেক আগে এমন মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষকদের শিক্ষক অধ্যাপক যতীন সরকার। এতোদিনে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে করলেও তা ভ্র্রমে পর্যবসিত হবে গত সপ্তাহের ঘটনা জেনে। মাধ্যমিক পর্যায়ের এমপিওভুক্ত (বেতন-ভাতার সরকারি অংশ) ইংরেজি শিক্ষক পদে নিয়োগের ভাইভায় নিজের মেধা সম্পর্কে খুব আত্মবিশ্বাসী একজন হবু শিক্ষকের বয়ান এমন- 

‘আমাকে প্রথমে বললো, what are you? আমি প্রায় ৩-৪ মিনিট speaking করেছি। speaking শুনার পর ওনারা [ভাইভা বোর্ড] জানতে চাইলো what is verb? পরে ভার্বটা কিভাবে Identify করবো তা জানতে চেয়েছেন। আমার speaking শুনে তারা satisfy. আমি confidence.'
আরেক হবু শিক্ষকের বক্তব্য : 
`I'm from Shatkhira. I'm satisfied for your exam because it is the first time to my viva voce. So I'm very glad to my confidence. Lots of question in my viva board, actually or...for example principle verb, auxiliary or some literacy term. I am feel confidence, Thank you'
ভাঙাচোরো ইংরেজিতে ওপরের কথাগুলো দুজন শিক্ষক প্রার্থীর। তবে তাদের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। তারা দুইজনই বিভিন্ন বেসরকারি হাইস্কুল বা মাদরাসার এমপিওভুক্ত শিক্ষক হতে চান। সে সুযোগ পাওয়ার যে দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তারা আছেন তার শেষপ্রান্তে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নেয়া গড়ে ৪ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলেই শিক্ষক হওয়ার গ্রিন সিগন্যাল পাকা। তাদের হাতেই ইংরেজি ভাষা শিখবেন আগামী প্রজন্ম। তারা শিক্ষক হওয়ার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারপর ভাইভায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভাইভা শেষে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে তারা এভাবেই নিজেদের অভিজ্ঞতা মেলে ধরেন দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার কাছে।  

ভুলভাল বললেও এ দুই প্রার্থী অন্তত ইংরেজিতে নিজের মনের ভাব প্রকাশের চেষ্টা করেছেন। তবে ইংরেজির সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ্য বিবেচিত হতে ভাইভায় অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রার্থী সে ঝুঁকিতে যাননি। তারা নিপাট বাংলায় অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দৈনিক আমাদের বার্তাকে। 

তাদের এমন অকপট বয়ানের পক্ষে সাফাই গেয়ে কেউ কেউ হয়তো দাবি করবেন- সিকি উৎসব ভাতা, বদলিবিহীন কম বেতনের চাকরিতে এর চেয়ে ভালো প্রার্থী খোঁজা কি অন্যায় হবে না! 
তাহলে এবার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও বদলিযোগ্য সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ভাইভার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আসা যাক। 

ঠিক এক বছর আগের ঘটনা। বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সোহেল মারুফ। টানা প্রায় দেড় মাস প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা করে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ৪১০০ জন পরীক্ষার্থীর ভাইভা নিয়েছিলেন। তারপর ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অভিজ্ঞতা। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক দেয়া তার ওই পোস্টটির আংশিক তুলে ধরা হলো-
সোহেল মারুফ লিখেছেন, …কিছু ভালো ছেলে-মেয়ে পেয়েছি স্বাভাবিকভাবেই। তবে সামগ্রিক প্রবণতা হতাশাজনক। ভাইভাতে আমাদের সামগ্রিক ফোকাস ছিল মূলত কয়েকটি বিষয়ে। ১. নিজ জেলা ২. বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ ৩. পরীক্ষার্থীদের পঠিত বিষয় (ডিগ্রি, অনার্স-মাস্টার্স) ৪. বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি ব্যাকরণ (যা প্রাইমারিতে প্রয়োজন) ৫. প্রাথমিক গণিত ৬. সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।’
তার আক্ষেপ, ‘বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী তাদের নিজ জেলা সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে পারেনি (প্রায় ৯৮%)। নমুনা প্রশ্ন যেমন- এ জেলায় কয়টি উপজেলা, কয়টি ইউনিয়ন, এ বিভাগে কয়টি জেলা এসব প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে পারেনি। কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম তারা জানে না। ৩/৪ টি নদীর নাম তাদের মনে নেই। ইংরেজি সামগ্রিক জ্ঞান ভয়াবহ। Syllable কয় প্রকার বলতে পারেননি প্রায় ৯৭ ভাগ পরীক্ষার্থী। বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত - এটার ইংরেজি করতে পারেনি ৯৯ ভাগ পরীক্ষার্থী।  তাদের বেশিরভাগ শোনেনি bank of the river শব্দগুলো। সার্বিকভাবে ইংরেজি কিছুই জানে না এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯০ ভাগ। বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি ব্যাকরণে ৮০ ভাগের তেমন কোন ধারণা নেই। নমুনা প্রশ্ন ছিল শব্দ কয় প্রকার,  এক কথায় প্রকাশ, সমাস কি। English phrase সম্পর্কে ধারণা নেই প্রায় ৮৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রীর। যে প্রতিষ্ঠানে পড়েছে সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানে না প্রায় ৯৫ ভাগ পরীক্ষার্থী। তাদের ৪/৫ বছরে এটা নিয়ে আগ্রহও জাগেনি। নিরাশার আরও জায়গা ছিল। ৯৯ ভাগ পরীক্ষার্থী বাক্য লিখে শেষে বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেনি। ইংরেজি বাক্যের শেষে Full stop ব্যবহার করেনি। জিজ্ঞেস করলে বলেছে, ফেসবুকে লিখে তারা অভ্যস্ত তাই বিরাম চিহ্নের ব্যবহার মনে ছিল না!’

এডিসি লিখেছেন, ‘..এখন যারা পড়াশোনা করছে তাদের শুধু বলতে চাই, সামনের দিনগুলোতে নিজের পণ্য নিজেকেই বিক্রি করতে হবে অর্থাৎ তোমাকেই প্রমাণ করতে হবে তুমি যোগ্য, যোগ্যতা ছাড়া কেউ কাউকে নিবে না, চাকুরী দিবে না।।বিশেষ করে ইংরেজিতে অনেক দক্ষ না হলে ভালো কিছুই করার সুযোগ থাকবে না- হোক সেটা নিজস্ব উদ্যোগ বা চাকুরী!!’
সোহেল মারুফের এই স্ট্যাটাসের পর এ বিষয়ে আর কিছু না বললেও বাস্তবতা বুঝতে সমস্যা হয় না। কিন্তু, সমস্যা যে আরও রয়ে গেছে। তাই, বর্তমান বিষয়ের প্রয়োজনেই এবার একটু অতীত ঘুরে আসা যাক। 

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে দৈনিক প্রথম আলো ‘৬৮ শতাংশ শিক্ষক ফেল কেন?’ শিরোনামে আমার একটা উপ-সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিলো। তখন আমি ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের বিশেষ প্রতিবেদক এবং সংসদ ও শিক্ষা বিট দেখি। পাশাপাশি অপ্রকাশ্যে ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমও দেখি। প্রথম আলোতে প্রকাশের পরদিন লেখাটা দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশ করি। সেই লেখাটির কয়েকটি অনুচ্ছেদ এরকম: “শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার জানা, ইংরেজি ও গণিত বিষয় দুটো পাবলিক পরীক্ষায় পাস-ফেলের নিয়ামক। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী এসএসসি পাস করেছেন। সামান্য কয়েকজন বাদে এ শিক্ষার্থীরাই ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে দশম শ্রেণিতে, তার আগে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে নবম, ২০১১-তে অষ্টম, ২০১০-এ সপ্তম ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছিল।

তারাই ষষ্ঠ শ্রেণিতে থাকাকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ও জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ১০০ নম্বরের প্রাক-মূল্যায়ন সমীক্ষায় বসেছিলেন। পরীক্ষার নম্বর বিভাজন- বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে মোট ৬০ এবং সমাজ ও বিজ্ঞানে ৩০ এবং ধর্মে ১০। পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে তৈরি করা প্রশ্নে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত প্রাক-মূল্যায়ন সমীক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো, শিক্ষার্থীরা কী ধরনের দুর্বলতা নিয়ে মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তা জানা।

আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা প্রায় সব জেলার মূল্যায়ন সমীক্ষার সমন্বিত ফলাফলের সারাংশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জেলার উদাহরণ দিচ্ছি। ওই সমীক্ষায় ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলার মোট ২৬টি থানা/উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৯ শতাংশের বেশি ফেল করেছেন। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় বসে ২৯-এর কম নম্বর পেয়েছেন।

সমীক্ষায় শূন্য থেকে ২৯ নম্বরধারীদের ফেল ও ৩০-এর বেশি পেলে পাস ধরা হয়েছিল। পাঠক, মিলিয়ে দেখুন, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডের পাসের হার ৯৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মাত্র ৬ শতাংশ ফেল। আর এরাই যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছিলেন, তখন ফেলের হার ৩৯ শতাংশের বেশি। তা-ও আবার ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায় যেখানে ভালো প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের সংখ্যা বেশি বলে ধরা হয়। এবার দেখুন, চট্টগ্রাম মহানগরসহ এ জেলার প্রায় ৭৭ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ফেল করেন ৪৪ শতাংশ।

পাঠক, আসুন একটু হিসেব মিলিয়ে নিই। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে যারা এসএসসি পাস করেছিলেন তারাই ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিলেন। সামান্য কয়েক হাজার মানোন্নয়ন, ফেল থেকে পাস বাদে এই ব্যাচটিই ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক (সম্মান) ও পাস কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। মোটামুটি হিসেবে ২০২১ ও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনকারীদের অধিকাংশই সেই ব্যাচটির। সোজা কথায় ফ্রেশ গ্রাজুয়েট।

প্রথম আলোতে আমার সেই লেখার শেষটা এমন : ‘তাহলে এ সময়ে ঢাকা, বরিশাল কিংবা রাজশাহী, কুমিল্লা বা কিশোগঞ্জের হবু শিক্ষকদের ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের এমন বেহাল দশায় পতিত হওয়ার ঘটনায় খুব বেশি আশ্চর্য হওয়ার সুযোগ আছে কী। গলদটা কি গোড়াতেই রয়ে যায়নি!’ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামকে প্রধান করে বছর দশেক আগে সরকার ইংরেজি বই ও স্কুলশিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ের দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ এবং উত্তরণের সুপারিশ করার জন্য কমিটি গঠন করেছিল। খুব সুন্দর সুন্দর সুপারিশ ছিলো। কিন্তু সবই ফাইল বন্দী!  

আমাদের স্কুল পর্যায়ের ইংরেজিতে শুধু লিখিত পরীক্ষা হয়। যদিও স্পোকেন, লিসেনিং ও রিডিং টেস্টও নেওয়ার কথা। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ইংরেজি পড়ার পরও দুর্বল থাকা থেকে মুক্তি পেতে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন শিক্ষাসচিব মো. নজরুল ইসলাম খান হাইস্কুলে ১৫ নম্বরের স্পোকেন ও লিসেনিং বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন। সেটাও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। 

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
অবশেষে বাজারে আসছে একাদশ শ্রেণির পাঁচ আবশ্যিক বই - dainik shiksha অবশেষে বাজারে আসছে একাদশ শ্রেণির পাঁচ আবশ্যিক বই অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে রেলগেট অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে রেলগেট অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে - dainik shiksha আওয়ামী আমলে শত কোটি টাকা লুট শিক্ষা প্রকৌশলের চট্টগ্রাম দপ্তরে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা - dainik shiksha শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে - dainik shiksha ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না জনগণ নির্ধারণ করবে কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি - dainik shiksha কুয়েটে ভর্তি আবেদন শুরু ৪ ডিসেম্বর, পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027761459350586