দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দেশে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর তিন মাস পর জনপ্রিয় ব্যক্তিগত পেনশন বীমা পলিসি বন্ধ ঘোষণা করেছে জীবন বীমা কর্পোরেশন। এক অফিস আদেশে এই পলিসিকে অলাভজনক হিসেবে বর্ণনা করে গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিক্রি বন্ধ রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ বিমা কোম্পানি।
ঐ আদেশে বলা হয়, জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যক্তিগত পেনশন পলিসি অলাভজনক বিধায় একচ্যুয়ারিয়াল কনসালট্যান্ট পলিসিটির বিপণন বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করেছে। একচ্যুয়ারিয়াল কনসালট্যান্টের সুপারিশ পরিচালনা বোর্ডের ৬২৪তম সভায় অনুমোদিত হয়েছে। নতুন করে বিমা পলিসি বিক্রি করা না হলেও পুরোনোগুলোর সুবিধা চালু থাকবে বলে করপোরেশন জানিয়েছে।উল্লেখ্য, পেশাজীবী ও কর্মজীবীসহ যে কোনো পেশার মানুষের জন্য এ বিমা পলিসি চালু করা হয়েছিল। কর্মজীবনে অকাল মৃত্যুতে জীবন বিমার আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসর জীবনের জন্য আমরণ পেনশন পাওয়ার সুযোগের কারণে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু গত বছরের আগস্টে দেশে প্রথম বারের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালুর তিন মাস পর ব্যক্তিগত পেনশন পলিসিকে অলাভজনক দেখিয়ে তা বন্ধ করে দিল জীবন বীমা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত পেনশন পলিসিতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বিমার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বা দুর্ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে বিমাগ্রহীতা মারা গেলে বার্ষিক প্রিমিয়ামের ৩০ গুণ অর্থ পান তার নমিনি। বার্ষিক ও ষান্মাসিক দুইভাবেই এই বিমার প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। পেনশন গ্রহণ করার ১০ বছরের মধ্যে গ্রহীতার মৃত্যু হলে অবশিষ্ট সময়ের জন্য নমিনি পেনশন সুবিধা পান। পেনশন নেওয়ার আগে বিমাগ্রহীতার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে পেনশন বা বিকল্পের যেটিতে বেশি অর্থ পাওয়া যায়, তা নমিনিকে এককালীন
পরিশোধ দেওয়ার ব্যবস্থাও আছে। বিমা গ্রহীতা অবসরে যাওয়ার সময়ে পেনশনের টাকার ৫০ শতাংশ বা পুরোটাই সমর্পণ করে এককালীন অর্থ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আয়কর মুক্ত সুবিধা থাকায় বিমাপত্রটির বিপরীতে গ্রাহকের ঋণ নেওয়ারও সুযোগ ছিল।এদিকে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করলেও এতে তেমন সাড়া নেই। বিদায়ি ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চালু হওয়ার পর থেকে পাঁচ মাসে সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিমে মোট গ্রাহক হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৯৫ জন।