প্যারিসে পর্দা উঠলো ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিকের ৩৩তম আসরের। ১২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বদ্ধ স্টেডিয়ামের বাইরে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। আসরের শুরুর আগের দিনই অভিযান শুরু করছে বাংলাদেশ। রিকার্ভ এককের র্যাঙ্কিং রাউন্ডে ৬৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৪৫তম হয়েছেন সাগর। তিনি স্কোর করেছেন ৬৫২। তার প্রতিপক্ষ ইতালির আরচার ৬৭০ স্কোর করে হয়েছেন ২০তম। ৩১ জুলাই হবে সাগরের লড়াই।
এবারের গেমসে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ৫ ক্রীড়াবিদ। এর মধ্যে কেবল আরচার সাগর ইসলাম প্যারিসে গেছেন যোগ্যতা অর্জন করে। বাকি চারজন গেমসে অংশ নেবেন আইওসি'র ওয়াইল্ডকার্ড নিয়ে। শুটিংয়ের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশ নেবেন রবিউল ইসলাম। তার ইভেন্ট ২৮ জুলাই দুপুর ১টা ১৫ মিনিট।
সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি পুলে নামবেন ৩০ জুলাই দুপুর ৩টায়। তিনি অংশ নেবেন ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলের বাছাইয়ে। আরেক সাঁতারু সোনিয়া খাতুন ৩ আগস্ট দুপুর ৩টায় খেলবেন ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল বাছাইয়ে। দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নেবেন ৪ আগস্ট রাত ১০টা ৩০টায়।
অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের অংশ নেয়া শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। ৬০টিরও বেশি দেশ আছে, যারা শুধু অলিম্পিকে অংশগ্রহণই করে যাচ্ছে, কোনো পদক নেই। তার মধ্যে আছে সবচেয়ে জনবহুল দেশ বাংলাদেশ। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জনশুমারি অনুযায়ী প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ ১৯৮৪ লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে আসছে। প্যারিস অলিম্পিকের আগে ১০টি আসরে লাল-সবুজের ৪৯ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড, আরচারি, সাঁতার, শুটিং, জিমন্যাস্টিকস ও গলফে। যেখানে পদক তো দূরের কথা, সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেননি কোনো অ্যাথলেট।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আগের ৪৯ জনের মধ্যে ৪৭ জনই অলিম্পিকে খেলেছিলেন ‘দয়ার’ ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে। প্যারিস অলিম্পিক নিয়ে তিনটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে নিজ যোগ্যতায় খেলার টিকিট পেয়েছেন তিনজন। ২০১৬ রিওতে গলফার সিদ্দিকুর রহমান, ২০২০ টোকিওতে আরচার রোমান সানা এবং এবার আরচার মো. সাগর ইসলাম সরাসরি নিশ্চিত করেছেন অলিম্পিকের টিকিট।