মাদারীপুরে বন্ধুদের সহযোগিতায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে ৫ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে প্রধান আসামি বাবু সরদারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাবু সরদার (২০) মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি এলাকার জাহাঙ্গীর সরদারর ছেলে।
বাবুর সহযোগীরা হলো- একই এলাকার মৃত লুৎফর মোড়লের ছেলে শাহীন মোড়ল (৩৫), সৈকত মাতুব্বরের ছেলে রাসেদ মাতুব্বর (৩৫) ও মৃত আরিফ চৌকিদারের ছেলে জিয়া চৌকিদার (২৭)। স্বজনদের অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বাড়ির বাইরে বাথরুমে যাবার জন্য বের হয় ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী। এ সময় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি এলাকার বাবু সরদার তার সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে জিস্মি করে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক ওই শিক্ষার্থীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ শেষে পালিয়ে যায় বাবু। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবুর বন্ধুরা মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
ঘটনা জানাজানি হলে গত রোববার নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, অস্ত্র ঠেকিয়ে বাবু ও তার বন্ধুরা আমাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমি কিছু বলার আগেই তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায় ও হত্যার হুমকি দেয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। মেয়েটির বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। এই ঘটনায় বাবু গ্রেফতার হয়েছে। এখনো পলাতক বাবুর সহযোগী শাহীন মোড়ল, রাসেদ মাতুব্বর ও জিয়া চৌকিদার। তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজ বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে বাবু সরদারকে প্রধান করে ৪ জনের নামে সদর মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা রেকর্ড হলে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয়েছে আদালতে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।