মহামারির প্রাদুর্ভাবে ১৭ মার্চ ২০২০-এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়, এর মধ্যে এক বছর পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চালু করে নির্ধারিত কাজ। নির্ধারিত কাজ হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট, যা নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার মধ্যেই থাকে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কিন্তু এই নির্ধারিত কাজ করে কি শিক্ষার্থীর পড়ালেখার উন্নতি বা মানসিক বিকাশ হচ্ছে? অধিকাংশ শিক্ষার্থীর দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, তাদের বেশিরভাগই নির্ধারিত কাজ পাঠ্যসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত না হয়ে ইন্টারনেট থেকে উত্তর বের করে নির্ধারিত কাজ সম্পূর্ণ করেছে। তাই এই নির্ধারিত কাজ থেকে শিক্ষার্থী কী শিক্ষা অর্জন করছে, সে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।
এভাবে তাদের মেধা কতটুকু বিকশিত হয়েছে—সে জিজ্ঞাসাও মুখ্য। নির্ধারিত কাজকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষার্থীর জন্য কাজে লাগাতে হলে, যেসব মানুষ ইন্টারনেটে নির্ধারিত কাজের সমাধান দিচ্ছে তাদেরকে বাধ্য করতে হবে যেন তারা এই কাজ না করে। না হয় এই নির্ধারিত কাজ অনর্থক। তাই আসুন প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে কাজ করি, শিক্ষিত জাতি গড়ি।
লেখক: সাজ্জাদ হোসেন রায়হান, শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা কলেজ