আইন মেনেই চতুর্থ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্বিবদ্যালয়ের নয়জন কর্মকর্তার। বেতন-ভাতাও চালু রয়েছে তাদের। এমনকি চলতি মাসের বেতনও পেয়েছেন চতুর্থ গ্রেড হিসেবে। কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই মূলত বেতন আটকানোর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্বিবদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ অনুযায়ী। আইনের প্রথম সংবিধির ৬ ধারার ২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাছাই বোর্ড গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এই নিয়োগ বাছাই বোর্ড দিয়েই পদোন্নতি বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পদোন্নতির জন্য আলাদা কোনো বাছাই বোর্ড নেই।
তবে আবেদন পত্র যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে। ফলে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশের আলোকে পদোন্নতির জন্য নিয়োগ বাছাই বোর্ডে প্রার্থীকে ডাকা হয়। নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী সংস্থা সিন্ডিকেট সভা সেই নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা রেহেনা মনি বলেন, যেহেতু হাইকোর্ট স্যাটাস-কো দেয়ার আগেই পদোন্নতিপ্রাপ্তরা যোগদান করেছেন, সেহেতু তারা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পজিশনেই স্ট্যাটাস বহন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, চলতি মাসের বেতন দেয়ার দিন কয়েকজন কর্মকর্তা জানালেন আটজন কর্মকর্তার চতুর্থ গ্রেডভুক্ত পদে পদোন্নতির ওপর হাইকোর্টে রিট করা আছে। যেহেতেু আইনি বিষয়, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টার মতামত নিয়ে চতুর্থ গ্রেডেই তাদের বেতন ছাড়া হয়েছে।