কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক ও বিভিন্ন গাছে পোস্টার লাগিয়েছে পদপ্রত্যাশী নেতারা। পোস্টের লাগানোর ক্ষেত্রে তারা দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭ লঙ্ঘন করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগামী ৯ অক্টোবরের কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাদের পোস্টার লাগানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গাছে, দেয়ালে এবং মেইন গেটে। ছাত্রলীগ নেতা ও আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী আবু সাদাৎ মোঃ সায়েমের পোস্টার লাগানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আগামী কমিটির পদপ্রত্যাশী রেজা-ই এলাহীর ব্যানার পেরেক মেরে লাগানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গাছে।
দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২ এর ধারা ৪ অনুযায়ী নির্ধারিত স্থান ব্যতীত অন্য কোনো স্থানে দেওয়াল লিখন বা পোস্টার লাগানো যাবে না। এছাড়া বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭-তে উদ্ভিদের ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পদপ্রত্যাশী আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পোস্টার লাগানো আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সে বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। সামনে কর্মীসভা সেজন্য প্রচারণা চালাতে পোস্টার করা হয়েছিল, জুনিয়রদের এগুলা দেখার দায়িত্ব ছিলো। তারা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের দেয়ালে পোস্টার লাগিয়েছে সে সম্পর্কে আমি জানতাম না। আর কর্মীসভা শেষ হলে এগুলো আবার সরিয়ে নেওয়া হবে।'
পোস্টার লাগানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নিকট থেকে কোনো অনুমতি নিয়েছেন কিনা এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যারের অনুমতি নেওয়া হয়নি।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছে পেরেক মেরে ব্যানার লাগিয়ে আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চাইলে আসন্ন শাখা ছাত্রলীগ কমিটির পদপ্রার্থী রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘এভাবে ব্যানার লাগানো আইন ভঙ্গের শামিল কিনা তা সম্পর্কে আমি জানতাম না। আর কীভাবে ব্যানার লাগানো হয়েছে সেই বিষয়টি আমি দেখছি।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘গতকাল ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাইনি। তাই এ ব্যানার, পোস্টার লাগানোর বিষয়ে আমি জানতাম না। যারা পোস্টার ব্যানার লাগিয়েছেন তারা আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে, তারা বলেছে তাদের এই পোস্টার, ব্যানারের কাজে বিশ্ববদ্যালয়ের সম্পদের কোনোরূপ বিকৃতি বা ক্ষতি হলে তা নিজ দায়িত্বে তারা সংস্কার করে দিবে। তবে এভাবে আইন ভেঙ্গে অনুমতি না নিয়ে প্রচার-প্রচারণার জন্য মূল ফটকের দেয়ালে পোস্টার, গাছে পেরেক লাগিয়ে ব্যানার লাগানো উচিত হয়নি।’