সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল আইনজীবী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় তাদের সরাতে গিয়ে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার হট্টগোল, হইচই ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রধান দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
যে পাঁচজন আহত হয়েছেন তারা হলেন, নায়েক মো. বাকিবিল্লাহ, কনস্টেবল মইনুদ্দিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ রাকিব, কনস্টেবল কিবরিয়া এবং কনস্টেবল রাকিব। বর্তমানে তারা রাজারবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ৩১ প্লাটুন মোট ৫০৬ জন ফোর্স এবং ৫০ জন এপিবিএন ফোর্স মোতায়ন করা হয়। সার্বিক তদারকির জন্য ডিসি সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে ডিসি রমনা, এডিসি সুপ্রিম কোর্ট, এডিসি রমনা, এসি রমনা জোন, এসি পেট্রোল রমনা, এসি ধানমন্ডি, এসি নিউ মার্কেট, ওসি শাহবাগ, ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহবাগ, ইন্সপেক্টর অপারেশন শাহবাগসহ রমনা ডিভিশনের ৬টি থানা থেকে অফিসার মোতায়ন করা হয়। সকাল ৯টায় নির্বাচন কমিশন কার্যক্রম শুরু করতে গেলে বিএনপি সমর্থকেরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কার্যক্রমে বাধার
সৃষ্টি করে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করতে থাকে। নির্বাচন কমিশনের সব সদস্য ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবী মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির (সভাপতি প্রার্থী) এবং মো. আব্দুল নুর দুলাল সাধারণ (সম্পাদক প্রার্থী) সহ সাধারণ আইনজীবী ভোটারগণ পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় ডিসি সুপ্রিম কোর্ট ও ডিসি রমনা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেন। এ সময় বিএনপি জামাতপন্থী আইনজীবী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক হট্টোগোল শুরু হয়।
তারা আরো বলেন, পুলিশ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের অডিটোরিয়াম ফাঁকা করে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরবর্তীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলাকালে বিকেল সোয়া তিনটায় ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে আইনজীবী ও বহিরাগতরা লাঠি, ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ হঠাৎ করে সরকারবিরোধী এবং নির্বাচনবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অতর্কিত নির্বাচনী প্যান্ডেল ও ভোটগ্রহণ কক্ষ (অডিটোরিয়াম) ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে। পুলিশ তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণাত্মক হয়। তাদের লাঠি ও ইট পাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।