বার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন কারাবন্দিরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক ও হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ৬৯ জন কারাবন্দিকে নিয়ে একটি প্রিজনভ্যান জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ফটকে যান। কারাবন্দিরা ভ্যান থেকে নামার সময় নানা অশালীন ভাষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় তাদের বেশ উগ্র আচরণ করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান। হাজতেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে এক আইনজীবীর অভিযোগ, এটি পেশকারদের উসকানি। তারাই কারাবন্দিদের উত্তেজিত করেছেন।
তবে একাধিক পেশকার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমরা কেন আসামিদের উসকে দিতে যাবো? আসামিরা দীর্ঘদিন হাজতে থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, সকালে কিছু কারাবন্দি প্রিজনভ্যান থেকে নামার সময় ক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন। শ্লোগানে যা বলেছেন, তা মুখে আনতে পারবো না।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করে আসছেন। গত ১ ডিসেম্বর আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে আইনজীবীদের অভিযোগ। এ ঘটনায় আইনজীবীরা ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। তবে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এবং আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। পরবর্তীতে তারা দফায় দফায় সাত কর্মদিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করেন। আর বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে উচ্চ আদালত দুই দফায় তলব করেছেন। উচ্চ আদালত আইনজীবীদের আদালত বর্জন না করারও নির্দেশনা দেন।