বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক পদে নিবন্ধিতদের নিয়োগ সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)৷ তবে, ১৫ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠান সুপারিশ পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, পছন্দের প্রতিষ্ঠানে বেশি নম্বরধারী ১৫ তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের সুপারিশ না করে কম নম্বর পাওয়া অন্য প্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছে তারা। ১৫তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে ইমেইল ও টেলিফোন করে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন।
১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ৬৯ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন পটুয়াখালীর প্রার্থী নূর মোহাম্মদ। ৬ মাসের ডিপ্লোমায় নিবন্ধন সংক্রান্ত কোন জটিলতা তার নেই। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পটুয়াখালী শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬৯ নম্বর নিয়ে তিনি আবেদন করলেও সেখানে ৬২ নম্বর পাওয়া একজনকে সুপারিশ কর হয়েছে৷
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, '১৫ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ কোন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়নি। রাতে আমরা দেখতে পেরেছি পেছন থেকে অনেককে সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছি।'
কামরুল ইসলাম নামের ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার আইসিটি পদে উত্তীর্ণ অপর এক প্রার্থী দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, ' জাতীয় মেধা তালিকা আমার অবস্থান সাত। কিন্তু আমার ১ম পছন্দের প্রতিষ্ঠানে যাকে সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় মেধা তালিকা তার অবস্থান ৩৯৭'।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে, প্রার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করার পর ব্যবস্থা নিলে আমাদের কি হবে? তাদের সুপারিশ করা পদগুলোতে এভাবে ভুল সুপারিশ করে জটিলতা আরও বাড়ানো হলো বলেও অভিযোগ করেন তারা।
জানা গেছে, ৬ মাসের ডিপ্লোমায় আইসিটি পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভুল করে সুপারিশ করা এড়াতে এনটিআরসিএ তাদের সনদ সংগ্রহ করেছিল। সে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, সনদ জমা না দিলে প্রার্থীদের সুপারিশ করা হবে না। প্রার্থীরা সনদ জমাও দিয়েছিলেন। প্রার্থীরা ধারবা করছেন, সনদ জমা দিলেও তাদের সনদ বিবেচনা করেনি এনটিআরসিএ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতই এ বিষয়টি এনটিআরসিএর কর্মকর্তাদের অবগত করেছে দৈনিক শিক্ষাডটকম। শুক্রবার সকালে এ জটিলতার বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব টি এম মাহবুব উল করীম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, '১৫ তম নিবন্ধনে আইসিটি শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জটিলতার বিষয়টি আমরা জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা বিষয়টি দেখবো। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।