চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করে। তাই আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি নৌকায় ভোট চান। এ সময় ভোট চেয়ে উপস্থিত জনতাকে ওয়াদা করান।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতা এসেছিলেন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মধ্যে ক্ষমতা থেকে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন। জনগণের ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। কিন্তু বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারা পছন্দ করে না। আজ গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার ৫০ মিনিটের বক্তব্যজুড়ে ছিল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা। তিনি দেশে রিজার্ভ নিয়ে ছড়ানো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি খুনি দল, অগণতান্ত্রিক দল। তারা ক্ষমতায় এলে মানুষের সম্পদ লুটপাট করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করে।
চট্টগ্রামের কথা সবসময় মনে পড়ে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারেনি, তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেওয়া হয়।
ভাষণের শুরুতেই জনসভায় যোগ দেওয়া দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ‘অনারা ক্যান আছন, গম আছননি?’ (আপনারা কেমন আছেন, ভালো আছেন?)
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার।
এ সময় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।